নভেম্বরের আগে পর্যটনের দুয়ার খুলছে না থাইল্যান্ড
পর্যটনের জন্য ব্যাপক জনপ্রিয় থাইল্যান্ড। দেশটির মোট জিডিপির পাঁচ ভাগের এক ভাগই আসে এই পর্যটন খাত থেকে। কিন্তু করোনার কারণে থমকে রয়েছে সব, যার প্রভাব পড়েছে থাইল্যান্ডের অর্থনীতিতেও। দীর্ঘদিন ধরে বিদেশি পর্যটকদের প্রবেশ বন্ধ দেশটির পর্যটন শহরগুলোতে। কথা ছিল, আগামী মাসেই পর্যটকদের জন্য খুলে দেওয়া হবে এসব শহর। তবে সেই আশায় গুড়েবালি। থাই শহরগুলো ভ্রমণের জন্য বিদেশিদের আরও কিছুদিন অপেক্ষা করা ছাড়া আপাতত উপায় নেই।
ব্যাপক হারে টিকাদান ও সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে আনার পর ব্যাংকক, হুয়া হিন, পাতায়া, চিয়াং মাইয়ের মতো পর্যটন শহরগুলো বিদেশিদের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়ার পরিকল্পনা ছিল থাই সরকারের। সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছিলেন, আগামী অক্টোবরে দুয়ার খুলতে পারে এসব শহরের। তবে টিকাদানের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ না হওয়ায় আপাতত সেই পরিকল্পনা স্থগিত করেছে দেশটির পর্যটন কর্তৃপক্ষ।
থাই পর্যটন কর্তৃপক্ষের গভর্নর ইউথাসাক সুপাসর্ন বুধবার (২২ সেপ্টেম্বর) বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে বলেছেন, আমাদের টার্গেট করা শহরগুলোতে টিকাদানের হার ৭০ শতাংশে পৌঁছায়নি। এ কারণে সেগুলো উন্মুক্ত করার তারিখ নভেম্বর পর্যন্ত পিছিয়ে দিতে হচ্ছে।
অ্যাস্ট্রাজেনেকা টিকার অন্যতম উৎপাদনকেন্দ্র হওয়া সত্ত্বেও টিকাদানের হারে খুব বেশি এগোতে পারেনি থাইল্যান্ড। এ পর্যন্ত রাজধানী ব্যাংককের মাত্র ৪৪ শতাংশ বাসিন্দাকে দুই ডোজ করে টিকা দিতে পেরেছে থাই কর্তৃপক্ষ। দেশের মোট জনসংখ্যার মধ্যে এই হার মাত্র ২২ শতাংশ।
করোনা আসার আগে ২০১৯ সালে প্রায় চার কোটি বিদেশি পর্যটক পেয়েছিল থাইল্যান্ড। কিন্তু চলতি বছর মাত্র ১০ লাখেই সন্তুষ্ট থাকতে হতে পারে তাদের। দেশটিতে এখন পর্যন্ত কেবল কোহ সামুই ও ফুকেট দ্বীপে পর্যটন প্রকল্পটি চালু হয়েছে।
সূত্র: সিএনএ
কেএএ/এএসএম