আফগান নারীবিষয়ক মন্ত্রণালয়ে নারীদেরই ঢোকা বন্ধ
রোজকার রুটিন অনুযায়ী প্রস্তুত হয়ে বৃহস্পতিবার (১৬ সেপ্টেম্বর) সকালে কাবুলের নারীবিষয়ক মন্ত্রণালয়ে গিয়েছিলেন এর নারী কর্মীরা। কিন্তু সেখানে পৌঁছে এদিন বাধার মুখে পড়তে হয় তাদের। কোনো নারী কর্মীকেই ভেতরে যেতে দেয়নি তালেবান।
রাশিয়ার রাষ্ট্রপরিচালিত বার্তা সংস্থা স্পুটনিক নিউজ এক আফগান কর্মীর বরাতে জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার আফগানিস্তানের নারীবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের চার নারী কর্মীকে ভেতরে যেতে বাধা দেন এক তালেবান যোদ্ধা। তবে পুরুষ কর্মীদের ঠিকই ঢুকতে দেওয়া হয়েছে। এ নিয়ে মন্ত্রণালয়ের কাছে বিক্ষোভ করতে চান ওই নারীরা।
পশ্চিমা বাহিনী প্রত্যাহার প্রক্রিয়া চলার মধ্যেই গত ১৫ আগস্ট একপ্রকার বিনাবাধায় কাবুল দখল করে তালেবান বিদ্রোহীরা। এতে পতন ঘটে প্রায় দুই দশক আফগানিস্তান শাসন করা পশ্চিমাসমর্থিত সরকারের। তালেবান ক্ষমতা দখলের পরিপ্রেক্ষিতে অনেকেই উদ্বেগ জানিয়েছেন, দেশটিতে ব্যাপকহারে মানবাধিকার, বিশেষ করে নারীদের অধিকার লঙ্ঘিত হতে পারে।
তবে তালেবান প্রতিশ্রুতি দিয়েছে, তারা শরিয়া আইনের মধ্যে নারীদের প্রাপ্য সম্মান ও সুবিধা নিশ্চিত করবে। এছাড়া পর্দা মেনে নারীরা কাজেও যোগ দিতে পারবে। তবে তাতে আশ্বস্ত হতে পারছে না বিভিন্ন মহল। তাদের আশঙ্কা, তালেবানের আগের শাসনামলের মতো এবারও নারীদের কাজকর্মে বাধা দেওয়া হতে পারে।
সম্প্রতি কাবুলে নতুন সরকার ঘোষণা করেছে সশস্ত্র গোষ্ঠীটি। তবে এতে ঠাঁই হয়নি কোনো নারীর। অবশ্য আগেই এমন ইঙ্গিত দিয়ে রেখেছিল তালেবান। কিছুদিন আগে গোষ্ঠীর মুখপাত্র সৈয়দ জেকরুল্লাহ হাশিমি টোলো নিউজকে বলেছিলেন, নারীরা মন্ত্রণালয়ের কাজ সামলাতে পারবেন না। তারা এই ভার বহনে অক্ষম বলে মনে করছেন তিনি। এমনকি, নারীরা সমাজের অর্ধেক- এটিও মানতে চাননি তালেবান মুখপাত্র।
কেএএ/জিকেএস