ভিডিও EN
  1. Home/
  2. আন্তর্জাতিক

কাবুল বিমানবন্দরে হামলার দায় স্বীকার আইএসের

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | প্রকাশিত: ০৯:১৮ এএম, ২৭ আগস্ট ২০২১

আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুলের হামিদ কারজাই বিমানবন্দরে ভয়াবহ বোমা হামলার দায় স্বীকার করেছে সন্ত্রাসী গোষ্ঠী ইসলামিক স্টেটের (আইএস) খোরাসান প্রদেশ শাখা। যুক্তরাষ্ট্রের সেনা ও তাদের আফগান মিত্রদের ‘লক্ষ্যবস্তু’ বানিয়ে তারা এ আত্মঘাতী হামলা চালিয়েছে বলে দাবি করেছে।

আইএসের এক বিবৃতির বরাত দিয়ে এ খবর জানিয়েছে মার্কিন সংবাদ সংস্থা এপি। তাদের বরাতে খবরটি প্রচার করেছে যুক্তরাজ্যের সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ানও।

বৃহস্পতিবার (২৬ আগস্ট) সন্ধ্যায় কাবুল বিমানবন্দরের আবে ফটকে জোড়া বিস্ফোরণ ঘটে। এতে ১৩ মার্কিন সৈন্যসহ অন্তত ৯০ জনের প্রাণ ঝরেছে। আহত হয়েছেন ১৫০ জনেরও বেশি।

এপির খবরে বলা হয়, হামলার পর আইএস দায় স্বীকার করে বিবৃতি দিয়েছে। সেখানে এক সন্ত্রাসীর ছবিও রয়েছে। ওই ছবিতে দেখা যায়, আইএসের কালো রঙের পতাকার সামনে বিস্ফোরক বেল্ট পরে দাঁড়িয়ে আছে সেই সন্ত্রাসী। তার মুখমণ্ডলও কালো কাপড়ে ঢাকা। কেবল চোখই দেখা যাচ্ছিল। হামলাকারীর নাম আবদুল রহমান আল-লোগারি বলে উল্লেখ করেছে আইএস। নাম থেকে মনে করা হচ্ছে, হামলাকারী আফগান ছিলেন।

আইএসের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, বিস্ফোরক বেল্ট পরিহিত ওই সন্ত্রাসী তালেবান নিয়ন্ত্রিত নিরাপত্তা চৌকি পেরিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সেনা, দোভাষী ও সহযোগীদের জটলার পাঁচ মিটারের মধ্যে ঢুকে পড়ে এবং বিস্ফোরণ ঘটায়। এ বিস্ফোরণে হতাহতদের মধ্যে তালেবান সদস্যরাও আছেন।

এদিকে ঘটনার কয়েক ঘণ্টা পর হোয়াইট হাউজে ব্রিফিংকালে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন হামলাকারীদের খুঁজে বের করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন। তিনি বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র সন্ত্রাসীদের কাছে হার মানবে না। আমরা তোমাদের ক্ষমা করবো না। আমরা (এ ঘটনা) ভুলে যাবো না। আমরা তোমাদের খুঁজে বের করবোই এবং তোমাদের এর মূল্য দিতে হবে।

তালেবানের আগ্রাসনের মুখে গত ১৫ আগস্ট আফগানিস্তানে পশ্চিমাসমর্থিত সরকারের পতন ঘটে। তারপর থেকেই কাবুল চালাচ্ছে তালেবান।

যদিও তারা সবার জন্য ‘সাধারণ ক্ষমা’ ঘোষণা করেছে, তবে তালেবান ক্ষমতাগ্রহণের পর থেকে আফগানিস্তান ত্যাগের হিড়িক পড়ে গেছে। এর মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রসহ অনেক দেশ কাবুলে বিশেষ প্লেন পাঠিয়ে তাদের নাগরিকদের ফেরত নিয়েছে। কেবল যুক্তরাষ্ট্রই ১৪ আগস্ট থেকে এখন পর্যন্ত লক্ষাধিক মানুষকে আফগানিস্তান থেকে সরিয়ে নিয়েছে। কাবুল বিমানবন্দরে এই কার্যক্রমই চলছে এখনো।

এইচএ/জিকেএস