কাবুল বিমানবন্দরের ‘বিশৃঙ্খলায়’ ৭ জনের মৃত্যু, বলছে যুক্তরাষ্ট্র
কাবুল বিমানবন্দরে আতঙ্কিত আফগান নাগরিকদের ‘বিশৃঙ্খলায়’ অন্তত সাতজনের মৃত্যু হয়েছে। এদের মধ্যে কয়েকজন প্রাণ হারিয়েছেন একটি উড়ন্ত মার্কিন প্লেন থেকে পড়ে। সোমবার যুক্তরাষ্ট্রের এক জ্যেষ্ঠ সেনা কর্মকর্তা বার্তা সংস্থা অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসকে (এপি) এ তথ্য জানিয়েছেন।
আফগানিস্তানে চলমান অভিযান প্রসঙ্গে জনসম্মুখে কথা বলতে নিষেধাজ্ঞা থাকায় নামপ্রকাশে রাজি হননি ওই মার্কিন কর্র্মকর্তা। প্লেনের চাকায় পিষ্ট হয়ে অথবা মার্কিন সেনাদের গুলিতে কেউ মারা গেছেন কি-না তাও নিশ্চিত করেননি তিনি।
রোববার তালেবান কাবুল দখল করতেই আতঙ্কিত আফগান নাগরিকরা দেশ ছাড়তে ব্যস্ত হয়ে ওঠেন। তবে সোমবার তারা অনেকটা বেপরোয়া আচরণ করেছেন। এদিন কাবুল বিমানবন্দরের দেয়াল টপকে রানওয়েতে ভিড় করেন কয়েক হাজার মানুষ। সেখানে প্লেনে উঠতে তাদের প্রাণান্ত চেষ্টা ধরা পড়েছে গণমাধ্যমের ক্যামেরায়। অনেকে প্লেনের চাকা বা পাখা ধরে দেশ ছাড়ার চেষ্টা করেছেন।
This is like a horror film #Kabul #Afghanistan pic.twitter.com/lhPLgFBrHa
— Yalda Hakim (@BBCYaldaHakim) August 16, 2021
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল একটি ভিডিওতে দেখা যায়, দেশ ছাড়ার জন্য কাবুল বিমানবন্দরে প্রচুর মানুষের ভিড়। আরেকটি ভিডিওতে দেখা গেছে, একটি উড়ন্ত মার্কিন প্লেন থেকে ছিটকে পড়ছেন অন্তত তিনজন।
আফগানদের এমন বেপরোয়া আচরণে বাধাগ্রস্ত হচ্ছে বিভিন্ন দেশের নাগরিকদের ফিরিয়ে নেওয়ার কার্যক্রম। এনডিটিভির খবরে বলা হয়েছে, বিমানবন্দরে বিশৃঙ্খল পরিস্থিতির জেরে কাবুল দূতাবাসে আটকা পড়েছেন দুই শতাধিক ভারতীয়। তাদের বিকল্প উপায়ে ফিরিয়ে আনতে জোর প্রচেষ্টা চালাচ্ছে ভারত। একই কারণে সাময়িক বন্ধ ছিল মার্কিনিদের কার্যক্রমও।
کابل میں دو نوجوان جہاز کے پہیے پر لٹک کر افغانستان چھوڑنے کی کوشش میں گر کر ہلاک ہوگئے۔
— Urdu News (@UrduNewsCom) August 16, 2021
ویڈیو بشکریہ: آسواکا#UrduNews #Kabul #Afghanistan pic.twitter.com/wWJnTcCW1R
অবশ্য আফগানিস্তানে এমন পরিস্থিতির জন্য আফগান বাহিনীকেই দুষছে যুক্তরাষ্ট্র। টেলিভিশনের এক সাক্ষাৎকারে দেশটির জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জেক সুলিভান অভিযোগ করেছেন, আফগান সেনাদের লড়াইয়ের ইচ্ছা না থাকার কারণেই তালেবান এত দ্রুত ক্ষমতা দখল করতে পেরেছে।
মার্কিন পররাষ্ট্র দফতর থেকে জানানো হয়েছে, কাবুলের হামিদ কারজাই বিমানবন্দরের নিরাপত্তায় দায়িত্ব পালন করছেন মার্কিন সেনারা। সেখানে তাদের প্রায় ছয় হাজার সেনা মোতায়েন রয়েছে। তবে ইতোমধ্যে মার্কিন দূতাবাসের সব কর্মীকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।
কেএএ/এএসএম