ভিডিও EN
  1. Home/
  2. আন্তর্জাতিক

করোনায় মালয়েশিয়ান গায়িকার মৃত্যু

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | প্রকাশিত: ০২:৩১ পিএম, ১০ আগস্ট ২০২১

করোনায় আক্রান্ত হয়ে মালয়েশিয়ার জনপ্রিয় গায়িকা সিতি সারাহ রাইসুদ্দিনের মৃত্যু হয়েছে। মৃত্যুর কয়েকদিন আগেই তিনি একটি পুত্র সন্তানের জন্ম দেন। এছাড়া তার আরও তিন সন্তান রয়েছে। করোনায় আক্রান্ত হওয়ায় আট মাসের অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় ওই গায়িকার অক্সিজেন লেভেল কমে গিয়েছিল। এরপর তিনি কোমায় চলে যান। পরবর্তীতে সিজারের মাধ্যমে তার সন্তানের জন্ম হয়।

বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মায়ের মৃত্যু হলেও শিশুটি বেঁচে আছে। তার স্বামী জানিয়েছেন, মৃত্যুর আগে তার স্ত্রীর সঙ্গে শেষবারের মতো ভিডিও কলে কথা বলেছিলেন তিনি। সে সময় সিতি খুব কান্নাকাটি করছিলেন।

সদ্যজাত ওই শিশুটি ছাড়াও এই দম্পতির আরও তিন সন্তান রয়েছে যাদের বয়স ৬ থেকে ১০ বছর। এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, গত ২৫ জুলাই ওই গায়িকার পুরো পরিবারের করোনা পজিটিভ ধরা পড়ে। মূলত তাদের বাড়িতে কাজ করা গৃহকর্মী থেকে তারা করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন বলে জানা গেছে।

এর কয়েকদিন পরেই সিতি সারা ইন্সটাগ্রামে একটি আবেগঘন ভিডিও পোস্ট করেন। সেখানে তার সন্তানদের কান্নাকাটি করতে দেখা গেছে। বিষয়টি খুবই বেদনাদায়ক ছিল। সিতি সারার মৃত্যুর খবরে ভেঙে পড়েছেন তার ভক্তরা। সামাজিক মাধ্যমে তার ভক্ত এবং তার সহকর্মীরা শোক প্রকাশ করেছেন।

জনপ্রিয় এই গায়িকার মৃত্যুতে শোক ও সমবেদনা প্রকাশ করেছেন মালয়েশিয়ার রাজা এবং রাণি। রাজপরিবারের পক্ষ থেকে এক ফেসবুক পোস্টে জানানো হয়েছে, রাজা এবং রাণির পক্ষ থেকে তার মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করা হয়েছে। তার পরিবারের সদস্যরা এই দুঃসময় কাটিয়ে উঠতে ধৈর্যশীল এবং সহনশীল হবেন বলে আশা প্রকাশ করা হয়েছে।

মালয়েশিয়ার বর্তমান করোনা পরিস্থিতি বেশ সঙ্কটময় হয়ে উঠেছে। এর মধ্যেই মঙ্গলবার থেকে সম্পূর্ণ ভ্যাকসিন নেয়া লোকজনের জন্য কোভিড বিধিনিষেধ শিথিল করা হচ্ছে।

ভ্যাকসিন নেয়া লোকজনের ওপর ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়া হচ্ছে। এছাড়া খেলাধুলা এবং বাইরে বের হওয়ারও অনুমতি দেয়া হচ্ছে। তবে পুনরায় সবকিছু চালুর বিষয়ে দ্বিতীয়বার ভেবে দেখার আহ্বান জানিয়েছে বিরোধী দলগুলো।

গত সোমবার মালয়েশিয়ায় নতুন করে ১৭ হাজার ২৩৬ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছে। একই সময়ে মারা গেছে ২১২ জন। দেশটিতে এখন পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে ১০ হাজার ৯৬১ জন। দেশটিতে এখন পর্যন্ত ২৭ শতাংশের বেশি মানুষকে ভ্যাকসিন দেয়া সম্ভব হয়েছে।

টিটিএন/এমকেএইচ