বিশ্বে করোনায় প্রাণহানি ৪৩ লাখ ছুঁই ছুঁই
বিশ্বে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ও মৃত্যু কিছুটা কমেছে। গত ২৪ ঘণ্টায় বিশ্বে আরও ৯ হাজার ৬১ জনের মৃত্যু হয়েছে। একই সময়ে নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন পাঁচ লাখ ৫৪ হাজার ৯১৫ জন। আর সুস্থ হয়েছেন তিন লাখ ৯০ হাজার ৫২৩ জন।
রোববার (৮ আগস্ট) সকাল সাড়ে ৮টায় আন্তর্জাতিক পরিসংখ্যানভিত্তিক ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডোমিটারে এসব তথ্য পাওয়া গেছে।
এর আগে শনিবার (৭ আগস্ট) একদিনে ১০ হাজার ১১৭ জন করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা যায় এবং নতুন করে আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত হয় সাত লাখ ছয় হাজার ৫০৪ জন।
ওয়ার্ল্ডোমিটারের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, বিশ্বে এখন পর্যন্ত করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ২০ কোটি ২৯ লাখ ৫৮ হাজার ৭৮ জন। এর মধ্যে মারা গেছেন ৪২ লাখ ৯৯ হাজার ৫০২ জন। তবে ইতোমধ্যেই সুস্থ হয়ে উঠেছেন ১৮ কোটি ২২ লাখ ৯৪ হাজার ৭৩৮ জন।
করোনা সংক্রমণ ও মৃত্যুতে এখন পর্যন্ত বিশ্বে শীর্ষ অবস্থানে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। দেশটিতে এখন পর্যন্ত করোনা শনাক্ত হয়েছে তিন কোটি ৬৫ লাখ ১৮ হাজার ৯৪৮ জনের। তাদের মধ্যে মারা গেছেন ছয় লাখ ৩২ হাজার ৯৮৭ জন। আর সুস্থ হয়েছেন দুই কোটি ৯৮ লাখ ৫১ হাজার ৮০৩ জন।
তালিকায় দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে ভারত। দেশটিতে এখন পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন তিন কোটি ১৯ লাখ ৩৩ হাজার ৫৫৩ জন। তাদের মধ্যে মারা গেছেন চার লাখ ২৭ হাজার ৮৯২ জন। আর ইতোমধ্যেই সুস্থ হয়েছেন তিন কোটি ১০ লাখ ৯২ হাজার ৯৭ জন।
তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে ল্যাটিন আমেরিকার দেশ ব্রাজিল। তবে মৃত্যুর দিক থেকে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে দেশটি। সেখানে এখন পর্যন্ত মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে পাঁচ লাখ ৬৩ হাজার ৮২ জনে। দেশটিতে এখন পর্যন্ত করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা দুই কোটি এক লাখ ৫১ হাজার ৭৭৯ জন। আর সুস্থ হয়ে উঠেছেন এক কোটি ৮৮ লাখ ৬৮ হাজার ৬০২ জন।
তালিকার চতুর্থ অবস্থানে রয়েছে রাশিয়া, পঞ্চম ফ্রান্স, ষষ্ঠ যুক্তরাজ্য, সপ্তম তুরস্ক, অষ্টম আর্জেন্টিনা, নবম কলম্বিয়া, দশম স্পেন।
তালিকায় বাংলাদেশের অবস্থান এখন ২৬ নম্বরে। দেশে এখন পর্যন্ত করোনা শনাক্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৩ লাখ ৪৩ হাজার ৩৯৬ জনে। এর মধ্যে মারা গেছেন ২২ হাজার ৪১১ জনে। এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় ২৬১ জনের মৃত্যু হয়।
২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের উহানে প্রথম করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। দেশটিতে করোনায় প্রথম রোগীর মৃত্যু হয় ২০২০ সালের ৯ জানুয়ারি। ওই বছরের ১৩ জানুয়ারি চীনের বাইরে প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হয় থাইল্যান্ডে।
এআরএ/এমকেএইচ