‘মোদিকে হটাতে’ সোনিয়ার সঙ্গে মমতার বৈঠক
ভারতের অন্যতম প্রাচীন রাজনৈতিক দল কংগ্রেসের সভাপতি সোনিয়া গান্ধীর সঙ্গে দেখা করেছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি। গত এপ্রিল-মে মাসে রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনে একে অপরের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছে কংগ্রেস ও তৃণমূল কংগ্রেস। তবে এবার সকল মতবিরোধ ভুলে নরেন্দ্র মোদিকে ক্ষমতাচ্যুত করার লক্ষ্যে নির্বাচনের পর প্রথমবার বৈঠক করলেন দুই দলের শীর্ষনেতা।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির খবর অনুসারে, বুধবার দিল্লিতে কংগ্রেস সভাপতির সঙ্গে দেখা করেছেন তৃণমূল সুপ্রিমো। ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচন সামনে রেখে বিরোধী দুই নেতার এই বৈঠক অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ।
এদিন সোনিয়া গান্ধীর সঙ্গে প্রায় ৪৫ মিনিট কথা বলেছেন মমতা ব্যানার্জি। সেখান থেকে বেরিয়ে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, বৈঠক খুব ভালো হয়েছে। বিজেপিকে হারাতে সবার এক হওয়া প্রয়োজন। সবাইকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে।
গত পাঁচদিন ধরে দিল্লিতে রয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী। এর মধ্যে তিনি কমল নাথ ও আনন্দ শর্মার মতো জ্যেষ্ঠ কংগ্রেস নেতাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন।
পশ্চিমবঙ্গের নির্বাচনে মোদি বাহিনীকে নাস্তানাবুদ করার পর থেকেই ভারতের কেন্দ্রীয় রাজনীতিতে আলোচিত চরিত্র হয়ে উঠেছেন মমতা। তাকে কেন্দ্র করে আগামী লোকসভা নির্বাচনে বিজেপিকে হারানোর স্বপ্ন দেখতে শুরু করেছেন অনেকে।
বিধানসভা নির্বাচনের জেতার পর থেকে দিল্লিতে বেশ কয়েকজন বিরোধী দলীয় নেতার সঙ্গে দেখা করেছেন মমতা ব্যানার্জি। বুধবারই তার মুখে শোনা গেছে, সারা দেশে খেলা হবে। এটি একটি চলমান প্রক্রিয়া… সাধারণ নির্বাচন আসলে (২০২৪ সালে) সেটি হবে মোদি বনাম দেশ।
তিনি বলেছেন, সংসদ অধিবেশনের পর আলোচনা হবে। একসঙ্গে কাজ করার মতো একটি প্ল্যাটফর্ম হওয়ার কথা। আমি সোনিয়া গান্ধী ও অরবিন্দ কেজরিওয়ালের সঙ্গে দেখা করছি। আমি গতকাল লালু প্রসাদ যাদবের সঙ্গে কথা বলেছি। আমরা সব দলের সঙ্গে কথা বলব।
বিরোধী শিবিরে কে নেতৃত্ব দিতে পারেন এমন প্রশ্নের জবাবে মমতা বলেন, আমি কোনো রাজনৈতিক জ্যোতির্বিদ নই। এটি পরিস্থিতির ওপর নির্ভর করে।
বিরোধী দল হিসেবে কংগ্রেস দুর্বল হয়ে গেছে এমন খবরের বিষয়ে মন্তব্য জানতে চাইলে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী বলেন, আমি কোনো দলের অভ্যন্তরীণ হিসাবে হস্তক্ষেপ করতে চাই না। তবে আমার মনে হয়, সোনিয়া গান্ধী বিরোধী ঐক্য চান।
কেএএ/জেআইএম