ভারতজুড়ে নাগরিকত্ব আইন কার্যকর ফের পেছাল
আইন হয়েছে প্রায় দেড় বছর আগে। কিন্তু সেই সংক্রান্ত নীতিমালা আজও চূড়ান্ত হয়নি। এজন্য দেশজুড়ে সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন (সিএএ) কার্যকর হওয়া পিছিয়ে যাচ্ছে। মঙ্গলবার এ তথ্য জানিয়েছে ভারতের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যমগুলোর খবর, সিএএ পাস হওয়ার বিষয়টি কত দূর এগিয়েছে, এর বিস্তারিত নীতিমালা কবে প্রকাশ হবে, মঙ্গলবার ভারতীয় পার্লামেন্টে এসব জানতে চান বিরোধী দল কংগ্রেসের সদস্য গৌরব গগৈ। জবাবে ভারতের স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নিত্যানন্দ রায় জানান, সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের নীতিমালা প্রণয়নে আরও ছয় মাস সময় লাগবে। এর জন্য পার্লামেন্টের কাছে সময় চেয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার।
জানা যায়, ২০১৯ সালে ১২ ডিসেম্বর সিএএ সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়েছিল। ২০২০ সালের জানুয়ারিতে তা আইনে পরিণত হয়। এরপর এতদিন কেটে গেলেও নীতিমালা কেন চূড়ান্ত হয়নি তার কোনো ব্যাখ্যা দেয়নি কেন্দ্র।
প্রতিমন্ত্রী নিত্যানন্দ শুধু বলেছেন, এই আইনের নীতিমালা প্রণয়নের জন্য লোকসভা এবং রাজ্যসভার কমিটির কাছে ২০২২ সালের ৯ জানুয়ারি পর্যন্ত সময় চাওয়া হয়েছে।
প্রতিবেশী দেশ থেকে আগত অমুসলিম সংখ্যালঘুদের নাগরিকত্ব দিতে পুরোনো নাগরিকত্ব আইন সংশোধন করে মোদি সরকার। এতে ২০১৪ সালের ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে পাকিস্তান, আফগানিস্তান ও বাংলাদেশ থেকে যাওয়া হিন্দু, শিখ, জৈন, বৌদ্ধ, পার্সি এবং খ্রিস্টানদের নাগরিকত্ব দেয়ার কথা বলা হয়।
এই আইনের বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিবাদ জানান ভারতীয় জনগণের একটি বড় অংশ। তাদের অভিযোগ, জাতীয় নাগরিকপঞ্জি (এনআরসি) এবং সিএএ মূলত সংখ্যালঘু মুসলিমদের হেনস্তা করতে তৈরি হয়েছে। দেশটির বিরোধী নেতারাও এই আইনের উদ্দেশ্য নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। এর মধ্যেই বিতর্কিত আইনটি কার্যকর হওয়া কয়েক দফা পেছাল।
সূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা, হিন্দুস্তান টাইমস
কেএএ/এমএস