মোদি-মমতার সমঝোতার অভিযোগ
পশ্চিমবঙ্গের বহুল আলোচিত সারদা-আর্থিক কেলেঙ্কারি নিয়ে ভারতের কেন্দ্রীয় তদন্তকারী গোয়েন্দা সংস্থা সিবিআই নিরপেক্ষ তদন্ত করছে না। কেন্দ্রীয় নরেন্দ্র মোদি সরকারের সঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারের গোপন সমঝোতা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছে সিপিএম।
প্রেসিডেন্সি জেলে কুণাল ঘোষ আত্মহত্যার চেষ্টার খবর প্রকাশের রায়গঞ্জের সিপিএম সংসদ সদস্য মহম্মদ সেলিম এ অভিযোগ করেন।
সিপিএম সাংসদ মহম্মদ সেলিম বলেন, কুণাল ঘোষ যখন তিনদিন আগে আত্মঘাতী হওয়ার হুমকি দিয়েছিলেন, তখনই ব্যবস্থা নেওয়া উচিৎ ছিল সিবিআইয়ের। তারা সেটা করেনি। দুর্গাপুজোর পর যখন বিসর্জনের বাজনা বাজল, তখন থেকেই দেখছি সিবিআই আগের মতো দ্রুত গতিতে তদন্ত করছে না। মনে হয়, তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গে বিজেপি নেতাদের গোপনে বোঝাপড়া হয়েছে। নইলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় হঠাৎ কেন জোর গলায় বলতে যাবেন, মদন-মুকুল চোর নয়! কেনই বা বিজেপি নেতারা আগের মতো সুর চড়াচ্ছেন না? আগেই প্রমাণ লোপাট হয়ে গিয়েছে, অতএব আর কী করা যাবে, হয়তো এই যুক্তি সাজাতে পারে সিবিআই।
১০ নভেম্বর আদালতে দাড়িয়ে সিবিআইয়ের দিকেও আঙুল তুলেছিলেন কুণাল ঘোষ। তিনি বলেছিলেন, যা যা তথ্য সিবিআইকে দিয়েছেন, প্রথম চার্জশিটে তার কিছুই উল্লেখ নেই। কারা দোষী, সেটা জেনেও সিবিআই রাঘবোয়ালদের গ্রেফতার করছে না। ওই দিনই তিনি বলেছিলেন, তিনদিনের মধ্যে দোষীদের গ্রেফতার করা না হলে জেলে আত্মঘাতী হবেন। সেই চেষ্টাই কুণাল ঘোষ করলেন শুক্রবার ভোরে।
প্রসঙ্গত, শুক্রবার ভোরে প্রেসিডেন্সি জেলে ঘুমের ওষুধ খেয়ে আত্মঘাতী হওয়ার চেষ্টা করেন সারদা-কাণ্ডে অন্যতম অভিযুক্ত কুণাল ঘোষ। এর পরই রাজ্য তথা জাতীয় রাজনীতিতে ঝড় উঠেছে। তড়িঘড়ি এসএসকেএম হাসপাতালে যান সিবিআই অফিসাররা। জেল কর্তৃপক্ষের পাশাপাশি প্রশ্ন উঠতে শুরু করে সিবিআইয়ের ভূমিকা নিয়েও।