করোনায় একদিনে ৯ হাজার মৃত্যু, শনাক্ত ৬ লাখ ছুঁইছুই
প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ও মৃত্যু বেড়েই চলেছে। গত ২৪ ঘণ্টায় এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে বিশ্বে আরও নয় হাজার ১৪১ জনের মৃত্যু হয়েছে। একই সময়ে নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছেন পাঁচ লাখ ৯৫ হাজার ২৩২ জন। আর সুস্থ হয়ে উঠেছেন চার লাখ ১৮ হাজার ১০১ জন।
বৃহস্পতিবার (২২ জুলাই) সকাল পৌনে ৯টায় আন্তর্জাতিক পরিসংখ্যানভিত্তিক ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডোমিটারে এসব তথ্য পাওয়া গেছে।
সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, সারাবিশ্বে এখন পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত হয়েছেন ১৯ কোটি ২৮ লাখ ২৩ হাজার ৫৩৯ জন। তাদের মধ্যে মারা গেছেন ৪১ লাখ ৪২ হাজার ৭২৮ জন। এখন পর্যন্ত এ ভাইরাস থেকে সুস্থ হয়ে উঠেছেন ১৭ কোটি ৫৩ লাখ ৪১ হাজার ৫২১ জন।
করোনা সংক্রমণ ও মৃত্যুতে এখনো বিশ্বে শীর্ষে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। দেশটিতে এখন পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছে তিন কোটি ৫১ লাখ ৪৬ হাজার ৪৭৬ জন। তাদের মধ্যে মারা গেছেন ছয় লাখ ২৫ হাজার ৮০৮ জন। আর সুস্থ হয়েছেন দুই কোটি ৯৪ লাখ ৫৮ হাজার ৪০৩ জন।
তালিকায় দ্বিতীয় অবস্থানে আছে ভারত। দেশটিতে এ পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন তিন কোটি ১২ লাখ ৫৬ হাজার ৯৩৯ জন। তাদের মধ্যে মারা গেছেন চার লাখ ১৯ হাজার ২১ জন। আর এ ভাইরাস থেকে সুস্থ হয়ে উঠেছেন তিন কোটি চার লাখ ৮১৩ জন।
তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে ল্যাটিন আমেরিকার দেশ ব্রাজিল। যদিও মৃত্যুর দিক থেকে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে তারা। সেখানে এখন পর্যন্ত মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে পাঁচ লাখ ৪৫ হাজার ৬৯০ জনে। এছাড়া এখন পর্যন্ত দেশটিতে আক্রান্ত হয়েছে এক কোটি ৯৪ লাখ ৭৪ হাজার ৪৮৯ জন। আর এখন পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন এক কোটি ৮২ লাখ ছয় হাজার ১৭৩ জন।
সংক্রমণ ও মৃত্যুর তালিকায় এর পরের স্থানগুলোতে রয়েছে রাশিয়া, ফ্রান্স, যুক্তরাজ্য, তুরস্ক, আর্জেন্টিনা, কলম্বিয়া ও ইতালি।
তালিকায় বাংলাদেশের অবস্থান এখন ২৬ নম্বরে। এখন পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত হয়েছেন হয়েছেন ১১ লাখ ৩৬ হাজার ৫০৩ জন। এর মধ্যে মারা গেছেন ১৮ হাজার ৪৯৮ জন। আর সুস্থ হয়ে উঠেছেন নয় লাখ ৬১ হাজার ৪৪ জন।
২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের উহানে প্রথম করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। দেশটিতে করোনায় প্রথম রোগীর মৃত্যু হয় ২০২০ সালের ৯ জানুয়ারি। ওই বছরের ১৩ জানুয়ারি চীনের বাইরে প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হয় থাইল্যান্ডে।
দেশে প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হয় গত বছরের ৮ মার্চ। এরপর কয়েক দফায় পরিস্থিতির উন্নতি-অবনতি হয়। তবে গত কয়েক দিনের পরিস্থিতি সবচেয়ে ভয়াবহ অবস্থায় রয়েছে।
এএএইচ/এমএস