পেগাসাস স্পাইওয়্যার কেবল বৈধ কাজে ব্যবহারের জন্য : ইসরায়েল
সন্ত্রাসবাদ মোকাবিলা করাসহ কোনো দেশে আইনসম্মত ও বৈধভাবে ব্যবহারের জন্য শুধু এনএসও গ্রুপের বিক্রি করা স্পাইওয়্যারের মতো সাইবার পণ্যগুলো রফতানি করা হয়। সোমবার ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এমনটাই জানিয়েছে বলে রয়টার্সের খবরে বলা হয়েছে।
১৭টি আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের অনুসন্ধানের একটি রিপোর্ট রোববার প্রকাশিত হয়। এরপর তোলপাড় শুরু হয় গোটা বিশ্বে। ফরেনসিক বিশ্লেষণে উঠে আসে, স্মার্টফোনের তথ্য তারা হ্যাক করে নেয় পেগাসাস স্পাইওয়্যার। নজরদারির শিকার হন মানবাধিকারকর্মী, রাজনীতিক, সাংবাদিক, আইনজীবীসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ।
২০১৯ সাল থেকে ‘দ্য পেগাসাস প্রজেক্ট’ নামের একটি প্ল্যাটফর্ম থেকে ইসরায়েলি স্পাইওয়্যার ব্যবহার করে ফোনে নজরদারির বিষয়ে অনুসন্ধান চালিয়ে যাচ্ছে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের একটি অনুসন্ধানী টিম।
পেগাসাস স্পাইওয়্যারের বিক্রেতা ইসরায়েলি প্রতিষ্ঠান এনএসও-র দাবি করছে, এই হ্যাকিংয়ের সঙ্গে তারা যুক্ত নয়। তারা শুধু আইনশৃঙ্খলাবাহিনী ও বাছাইকৃত সরকারের গোয়েন্দা সংস্থার কাছে এই প্রযুক্তি বিক্রি করে আসছে।
তারা আরও দাবি করে, যেকোনো সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড, মাদক পাচার চক্র, শিশু অপহরণকারী ধরতে, ভবন ধসে চাপা পড়ে যাওয়া মানুষকে উদ্ধার কাজসহ নানান কল্যাণমূলক কাজে ব্যবহৃত হচ্ছে এই স্পাইওয়্যার।
দেশটির প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় তাদের বিবৃতিতে জানায়, শুধু সরকারি সংস্থা, আইনসম্মত ব্যবহার এবং অপরাধ ও সন্ত্রাস দমন ঠেকাতে ও অনুসন্ধানের জন্য ইসরায়েল সাইবার পণ্য রফতানির অনুমোদন দেয়।
এর আগে ইসরায়েলের স্বাস্থ্যমন্ত্রী নিটজান হরোউইৎজ সাংবাদিকদের বলেন, এনএসও গ্রুপের রফতানির বিষয়টি নিয়ে তিনি বৃহস্পতিবার প্রতিরক্ষামন্ত্রী বেনি গান্তজের সঙ্গে বৈঠক করবেন। কিভাবে তথ্য ফাঁস হলো তাও তদন্ত করে দেখবে তারা।
সম্প্রতি ফাঁস হওয়া ডেটাবেইসে ৫০ হাজারের বেশি ফোন নম্বর পাওয়া গেছে। ২০১৬ সাল থেকে ইসরায়েল কর্তৃত্ববাদী সরকারগুলোকে এ সেবা দিয়ে আসছে।
প্রথম খবরে আসে পেগাসাস ২০১৯ সালের অক্টোবরে। ফেসবুক মালিকানাধীন সংস্থা হোয়াটসঅ্যাপ জানায়, চারটি মহাদেশের প্রায় ১৪০০ জনের মোবাইল পেগাসাসের মাধ্যমে হ্যাক করা হয়েছে।
এসএনআর/এসএইচএস/জেআইএম