ভিডিও EN
  1. Home/
  2. আন্তর্জাতিক

স্বাস্থ্যকর্মীদের ভ্যাকসিন বাধ্যতামূলক করল ফ্রান্স

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | প্রকাশিত: ১১:২৮ এএম, ১৩ জুলাই ২০২১

আগামী সেপ্টেম্বরের মধ্যে ফ্রান্সের সব স্বাস্থ্যকর্মীকে অবশ্যই ভ্যাকসিন গ্রহণ করতে হবে। সরকারিভাবে এক ঘোষণায় এ তথ্য জানানো হয়েছে। স্বাস্থ্যকর্মীদের করোনা ঝুঁকি কমিয়ে আনতেই এমন পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে বলে জানানো হয়েছে। হাসপাতালের নার্স, চিকিৎসক, অফিস স্টাফ, স্বেচ্ছাসেবীরা এই আওতার মধ্যে থাকবেন। খবর বিবিসির।

ফরাসী প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল ম্যাক্রোঁ বলেছেন, আগামী মাস থেকে দেশের বিভিন্ন শপিংমল, বার, সিনেমা হল এবং দীর্ঘ দূরত্বের ট্রেন ভ্রমণে হেলথ পাস দেখাতে হবে। লোকজনকে হয় তাদের ভ্যাকসিন সার্টিফিকেট অথবা করোনার নেগেটিভ রিপোর্ট দেখাতে হবে।

সোমবার টেলিভিশনে দেয়া এক ভাষণে প্রেসিডেন্ট ম্যাক্রোঁ বলেন, আমি আপনাদের যা কিছু করতে বলছি সে বিষয়ে আমি সচেতনভাবেই নির্দেশনা দিয়েছি। আমি জানি আপনারা এই প্রতিশ্রুতি পূরণে প্রস্তুত আছেন। এটা আপনাদের দায়িত্বের মধ্যেই পড়ে।

করোনায় ঝুঁকিপূর্ণ লোকজনের সংস্পর্শে থাকা প্রত্যেককেই অবশ্যই ভ্যাকসিন গ্রহণ করতে হবে। এছাড়া হাসপাতাল, ক্লিনিক, কেয়ার হোমে কাজ করেন এমন লোকজনকেও বাধ্যতামূলক ভ্যাকসিন নিতে হবে।

ফ্রান্সের একটি টেলিভিশনে দেয়া ভাষণে দেশটির স্বাস্থ্যমন্ত্রী অলিভিয়ান ভেরান বলেন, আগামী ১৫ সেপ্টেম্বরের মধ্যে সব স্বাস্থ্যকর্মীকে অবশ্যই ভ্যাকসিন নিতে হবে।

দেশটিতে সম্প্রতি নাইটক্লাব পুনরায় চালু হয়েছে। তবে নাইটক্লাবে প্রবেশের ক্ষেত্রে অবশ্যই হেলথ পাস দেখাতে হচ্ছে। আগামী ২১ জুলাই থেকে আরও বেশি স্থানে যেমন, বিভিন্ন উৎসব, থিয়েটার এবং হাসপাতালে ১২ বছরের বেশি বয়সী সবাইকে এই পাস দেখাতে হবে।

লোকজনকে ভ্যাকসিন গ্রহণের প্রতি উৎসাহিত করতে পিসিআর টেস্ট আর বিনামূলে থাকছে না। এতদিন বিনামূল্যে পিসিআর টেস্ট করা গেলেও এখন টাকা খরচ করতে হবে।

প্রেসিডেন্ট ম্যাক্রোঁ ভ্যাকসিন নিয়ে নতুন ঘোষণা দেয়ার পরই দেশটির ভ্যাকসিন সংক্রান্ত ওয়েবসাইট ডক্টলিবের ওয়েবসাইট ডাউন হয়ে গেছে। একসঙ্গে অনেক মানুষ ওয়েবসাইটে ঢুকে অ্যাপয়েন্টমেন্ট নেয়ার চেষ্টা করেছেন বলেই এমনটা হয়েছে।

ফ্রান্সে ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের কারণে সাম্প্রতিক সময়ে সংক্রমণ বেড়ে গেছে। হাসপাতালেও রোগীর চাপ বেড়ে গেছে।
গত শুক্রবার এক দল বিশেষজ্ঞ ফরাসী সরকারকে সতর্ক করে বলেছেন, আগামী কয়েক মাসের মধ্যে দেশে করোনার চতুর্থ ঢেউ আঘাত হানতে যাচ্ছে। সংক্রমণের গতি রোধে দেশের ৯৫ শতাংশ মানুষকে ভ্যাকসিনের আওতায় আনার পরামর্শ দেয়া হয়েছে। এখন পর্যন্ত দেশের অর্ধেকের বেশি মানুষ ভ্যাকসিনের প্রথম ডোজ নিয়েছে। অপরদিকে ৪০ শতাংশের কম মানুষ ভ্যাকসিনের দু'টি ডোজ নিয়েছে।

টিটিএন/এএসএম