ভিডিও EN
  1. Home/
  2. আন্তর্জাতিক

রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার গোপন নথি ফাঁস আইএসের

প্রকাশিত: ০৭:৩৭ এএম, ০৮ ডিসেম্বর ২০১৫

মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক জঙ্গিগোষ্ঠী ইসলামিক স্টেটের (আইএস) ইরাক এবং সিরিয়ায় রাষ্ট্রগঠনের রূপরেখা সম্বলিত গোপন নথি ফাঁস হয়েছে। ২৪ পৃষ্ঠার ওই নথিতে ইসলামিক স্টেট তাদের নিজস্ব সরকারের বিভিন্ন বিভাগ গঠনের পরিকল্পনা করেছে। ব্রিটেনের প্রভাবশালী গণমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ান এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।

নথিতে আন্তর্জাতিক সম্পর্ক স্থাপনের পরিকল্পনা, প্রচারণামূলক কর্মকাণ্ড, তেল, গ্যাসসহ বিভিন্ন ধরনের গুরুত্বপূর্ণ অর্থনৈতিক বিষয়ের ওপর নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠার ওপর জোর দেয়া হয়েছে। এই নথিতে রাষ্ট্র পরিচালনার মূলনীতিও লিপিবদ্ধ করেছে ইসলামিক স্টেট। গত ৫০ বছরের মধ্যে সবচেয়ে অর্থনৈতিকভাবে স্বচ্ছল ও প্রতিষ্ঠিত এই জঙ্গি গোষ্ঠীটি নিজস্ব রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার রূপরেখা তুলে ধরেছে।

গার্ডিয়ানের হাতে থাকা অন্যান্য নথির সঙ্গে আইএসের সদ্য ফাঁস হওয়া এই নথিতে একটি পূর্ণাঙ্গ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার ছবি উঠে এসেছে। নৃশংস সহিংসতার সহ, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, ব্যবসা, যোগাযোগ ও চাকরির নীতিও তৈরি করেছে আইএস। সংক্ষেপে বলা যায়, এটি একটি পূর্ণাঙ্গ রাষ্ট্রের রূপরেখা।

IS

গত বছরের জুলাই এবং অক্টোবরের মাঝামাঝি সময়ে লেখা ওই নথিতে আইএস জঙ্গিদের পৃথক প্রশিক্ষণের বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরা হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, সর্বাধুনিক অস্ত্র ব্যবহারের কৌশল, সামরিক পরিকল্পনা এবং প্রযুক্তি সম্পর্কে প্রশিক্ষণের জন্য যোদ্ধাদের প্রত্যেক বছর একটি কোর্সে বাধ্যতামূলক অংশ নিতে হয়। এ সময় প্রতিপক্ষের অস্ত্র সম্পর্কে যোদ্ধাদের ধারণা দেয়া হয়। একইসঙ্গে সেই অস্ত্র থেকে কিভাবে আইএস জঙ্গিরা সুবিধা নিতে পারেন সে বিষয়েও দিকনির্দেশনা দেয়া হয়।

প্রথমবারের মতো ফাঁস হওয়া আইএসের এই গোপন নথিতে যুদ্ধের কলাকৌশল সম্পর্কে শিশুদেরও প্রশিক্ষণের চিত্র উঠে এসেছে। চলতি বছরে বেশ কয়েকটি আত্মঘাতী হামলায় শিশুদের ব্যবহার করেছে আইএস। মিসরের নাগরিক আবু আব্দুল্লাহর লেখা ওই নথিতে শিশুদেরকে হালকা অস্ত্র বহন ও বিভিন্ন চেক পয়েন্টে নিরাপত্তা ব্যবস্থা সম্পর্কে ধারণা দিতে প্রশিক্ষণ দেয়া হয়।

এক ব্যবসায়ীর মাধ্যমে আইমেন আল তামিমি নামে এক গবেষকের হাতে এসেছে ওই নথি। এই গবেষক গত কয়েকবছর ধরে আইএসের বিষয়ে বিভিন্ন তথ্য সংগ্রহ করে আসছেন। তবে নিরাপত্তার স্বার্থে ওই ব্যবসায়ী সম্পর্কে কোনো তথ্য প্রকাশ করেনি গার্ডিয়ান।

এসআইএস/পিআর