করোনায় আরও ৬ হাজারের বেশি মৃত্যু
বিশ্বজুড়ে প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ও মৃত্যু কিছুটা বেড়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় বিশ্বে আরও ৬ হাজার ৩৬৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। একই সময়ে নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ৩ লাখ ২২ হাজার ৫২৫ জন। আর সুস্থ হয়ে উঠেছেন ৩ লাখ ৬৫ হাজার ২৯৩ জন।
মঙ্গলবার (২৯ জুন) সকাল সাড়ে ৮টায় পরিসংখ্যানভিত্তিক ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডোমিটার থেকে এ তথ্য পাওয়া গেছে।
এর আগে সোমবার (২৮ জুন) ২৪ ঘণ্টায় ৬ হাজার ৭৬ জনের মৃত্যু এবং ৩ লাখ ১৫ হাজার নতুন রোগী শনাক্তের তথ্য জানিয়েছিল ওয়ার্ল্ডোমিটার।
ওয়ার্ল্ডোমিটারের তথ্য অনুযায়ী, এখন পর্যন্ত বিশ্বে ১৮ কোটি ২১ লাখ ৮৩ হাজার ৭৯৩ জন প্রাণঘাতী এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। এর মধ্যে মৃত্যু হয়েছে ৩৯ লাখ ৪৫ হাজার ১৮৪ জন। ইতোমধ্যে সুস্থ হয়ে উঠেছেন ১৬ কোটি ৬৭ লাখ ৩৯ হাজার ২৫৫ জন।
করোনা সংক্রমণ ও মৃত্যুতে এখন পর্যন্ত শীর্ষ অবস্থানে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। দেশটিতে এখন পর্যন্ত আক্রান্তের সংখ্যা ৩ কোটি ৪৫ লাখ ১১ হাজার ৬৩৬ জন। এর মধ্যে মারা গেছেন ৬ লাখ ১৯ হাজার ৫৯৫ জন। অপরদিকে, সুস্থ হয়েছেন ২ কোটি ৮৯ লাখ ৬২ হাজার ৮৪৯ জন।
তালিকায় দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে ভারত। দেশটিতে এখন পর্যন্ত আক্রান্তের সংখ্যা ৩ কোটি ৩ লাখ ১৬ হাজার। এর মধ্যে মৃত্যু হয়েছে ৩ লাখ ৯৭ হাজার ৬৬৮ জনের। সুস্থ হয়েছেন ২ কোটি ৯৩ লাখ ৫৯ হাজার ২০৮ জন।
তৃতীয় অবস্থানে থাকা ব্রাজিলে এখন পর্যন্ত আক্রান্তের সংখ্যা ১ কোটি ৮৪ লাখ ৪৮ হাজার ৪০২ জন। এর মধ্যে মারা গেছেন ৫ লাখ ১৪ হাজার ২০২ জন। যুক্তরাষ্ট্রের পর সবচেয়ে বেশি মৃত্যু দেখেছে ব্রাজিল। তবে দেশটিতে এখন পর্যন্ত সুস্থ হয়ে উঠেছেন ১ কোটি ৬৭ লাখ ৭৩ হাজার ৩২৯ জন।
সংক্রমণ ও মৃত্যুর তালিকায় এর পরেই রয়েছে ফ্রান্স, রাশিয়া, তুরস্ক, যুক্তরাজ্য, আর্জেন্টিনা, ইতালি, কলম্বিয়া, স্পেন, জার্মানি, ইরান, পোল্যান্ড, মেক্সিকো, ইউক্রেন, ইন্দোনেশিয়া, পেরু, দক্ষিণ আফ্রিকার মতো দেশগুলো।
তালিকায় বাংলাদেশের অবস্থান এখন ৩০। গত কয়েক সপ্তাহ ধরে উদ্বেগজনক হারে দেশে বাড়ছে সংক্রমণের হার। এখন পর্যন্ত দেশে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ৮ লাখ ৯৬ হাজার ৭৭০ জন। এর মধ্যে মারা গেছেন ১৪ হাজার ২৭৬ জন। করোনা থেকে সুস্থ হয়ে উঠেছেন ৮ লাখ ৭ হাজার ৬৭৩ জন।
২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের উহানে প্রথম করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। দেশটিতে করোনায় প্রথম রোগীর মৃত্যু হয় ২০২০ সালের ৯ জানুয়ারি। ওই বছরের ১৩ জানুয়ারি চীনের বাইরে প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হয় থাইল্যান্ডে।
এএএইচ/এমকেএইচ