ভিডিও EN
  1. Home/
  2. আন্তর্জাতিক

দীর্ঘদিন করোনায় ভুগে হতাশা-যন্ত্রণায় আত্মহত্যা

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | প্রকাশিত: ০৩:২০ পিএম, ২৪ জুন ২০২১

দীর্ঘদিন ধরে কোভিডের নানা রকম লক্ষণ ছিল শরীরে। একটার পর একটা শারীরিক সমস্যা রীতিমত যন্ত্রণার কারণ হয়ে উঠেছিল। আর তা থেকে হতাশা, বিষন্নতায় আত্মহত্যা করেন মার্কিন চলচ্চিত্র নির্মাতা নিক গুথের স্ত্রী হেইডি ফেরার।

নিক জানিয়েছেন, তার স্ত্রীর দেহে দীর্ঘদিন ধরে করোনার বিভিন্ন লক্ষণ ছিল। তিনি প্রায় ১৩ মাস ধরে নানা রকম জটিলতায় ভুগেছেন। পরবর্তীতে মানসিক অবসাদে তিনি আত্মহত্যা করতে বাধ্য হয়েছেন।

মূলত তার দেহে করোনার লক্ষণ প্রকাশ পায় গত গ্রীষ্মে। সে সময় তার পায়ে ব্যথা শুরু হয়। এটা ভাষায় প্রকাশ করার মতো নয়। বুধবার সিএনএননের এক প্রতিবেদনের সঙ্গে ভিডিওকলে স্ত্রীর মৃত্যুর আগের নানা রকমের শারীরিক জটিলতার বিষয়ে আলোচনা করেন নিক।

হেইডির হজমের সমস্যা শুরু হয়, শরীরে ব্যথা অনুভূত হচ্ছিল এবং সব সময়ই বিছানা থেকে উঠলেই তার বুক ধড়ফড় করতো। গত মাসে তার মৃত্যুর আগ পর্যন্ত মাসের পর মাস তাকে এই সমস্যাগুলো সহ্য করতে হয়েছে যা রীতিমত তাকে মানসিকভাবেও বেশ যন্ত্রণা দিয়েছে।

স্নায়বিক সমস্যা শুরু হওয়ার পর থেকেই হেইডি কখনও এক ঘণ্টার বেশি ঘুমাতে পারতেন না বলে জানান নিক। তিনি বলেন, তারা চিকিৎসকদের কাছে এসব সমস্যার সমাধান চেয়েছেন, কেন এমন হচ্ছে তার উত্তর চেয়েছেন কিন্তু এর বদলে চিকিৎসকরা অন্য সমস্যার দিকে গুরুত্ব দিয়েছেন। ফলে হেইডি যা ভোগ করছিল তা থেকে সে বেরিয়ে আসতে পারেনি।

দীর্ঘকালীন করোনায় ভূক্তভোগীদের জন্য কোভিড ক্লিনিকে চিকিৎসা নেয়ার চেষ্টা করেন হেইডি। বেশ কয়েক মাস চেষ্টা করার পর তার মৃত্যুর একদিন আগে এ সংক্রান্ত একটি চিঠি আসে। তখন সবকিছুই শেষ। যার চিকিৎসার দরকার ছিল তিনিই পৃথিবী ছেড়ে চলে গেছেন। তার স্বামী নিক আফসোস করে বলেন, যারা দীর্ঘকালীন করোনার জটিলতায় ভুগছেন তাদের সমস্যা অনেকেই বুঝতে পারছেন না।

চলতি বছরের শুরুতেই যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল ইন্সটিটিউট অব হেলথের পরিচালক ডা. অ্যান্থনি ফাউসি জানান, কোভিড আক্রান্তদের মধ্যে ১০ থেকে ৩০ শতাংশ মানুষ দীর্ঘকালীন বিভিন্ন স্বাস্থ্য জটিলতায় ভুগছেন।

অনেকের ক্ষেত্রেই করোনার বেশ কিছু লক্ষণ যেমন-ক্লান্তি, শ্বাসকষ্ট, ঘুমের ব্যাঘাত, উদ্বেগ, জ্বর, পেটের সমস্যাসহ বেশ কিছু জটিলতা মাসের পর মাস থেকে যাচ্ছে। করোনা নিয়ে নানা ধরনের গবেষণা চলতে থাকলেও করোনা পরবর্তী চিকিৎসা বা রোগীর মানসিক অবস্থা নিয়ে এখনও সেভাবে গবেষণা হয়নি। ফলে দীর্ঘকালীন বিভিন্ন শারীরিক জটিলতা একসময় এ ধরনের রোগীকে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিচ্ছে।

টিটিএন/জেআইএম