‘গোপনে’ তালেবানের সঙ্গে যোগাযোগ করছে ভারত
খুব শিগগিরই হয়তো ক্ষমতার পালাবদল হতে চলেছে আফগানিস্তানে। প্রায় দুই যুগ কথিত ‘শান্তিরক্ষা’র মিশনে সমপ্তি টেনে দেশটি থেকে বিদায় নিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন যৌথবাহিনী। তবে একগাদা অভিযোগ তুলে যে তালেবানকে ক্ষমতাচ্যুত করেছিল তারা, সেই গোষ্ঠীটি এখনো বহাল তবিয়তে আফগানিস্তানের একাংশ নিয়ন্ত্রণ করছে। ‘শান্তিচুক্তি’ হয়ে গেলে তালেবান আবারও আফগান সরকারের অংশ হবে তা প্রায় নিশ্চিত। আর এই পরিস্থিতিতে তালেবান প্রতিনিধিদের সঙ্গে ‘গোপনে’ যোগাযোগ শুরু করেছে ভারত সরকার।
সম্প্রতি কাতারের রাজধানী দোহায় ভারতীয় কর্মকর্তারা তালেবান প্রতিনিধিদের সঙ্গে কয়েক দফায় সাক্ষাৎ করেছেন বলে জানিয়েছেন কাতারি পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বিশেষ দূত।
গত সোমবার এক ওয়েবিনারে অংশ নিয়ে মুতলাক বিন মাজেদ আল-কাহতানি বলেন, আমি বুঝতে পারছি যে, তালেবানের সঙ্গে কথা বলতে ভারতীয় কর্মকর্তাদের ‘নীরব’ সফর হয়েছে... কারণ তালেবান ভবিষ্যৎ আফগান সরকারের একটি প্রধান উপাদান হওয়া উচিত অথবা হতে চলেছে।
টাইমস অব ইন্ডিয়ার খবর অনুসারে, তালেবানের সঙ্গে যোগাযোগের ক্ষেত্রে ভারতীয় পক্ষে নেতৃত্ব দিচ্ছেন দেশটির জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভাল। তবে বিষয়টি এখনো অনানুষ্ঠানিক পর্যায়ে রয়েছে।
সূত্রের বরাতে ভারতীয় সংবাদমাধ্যমটি বলছে, ভারত সরকার আফগানিস্তান সরকারের সঙ্গে কাজ করতে আগ্রহী, তবে তালেবানের দিকে কোনো নিষেধাজ্ঞা নেই। সেখানে পরিস্থিতি বদলে গেলে এই বিষয়েও পরিবর্তন আসতে পারে।
এ বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে ভারতীয় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচী বলেন, আমি আগেও যেমনটা বলেছি, আফগানিস্তানের উন্নয়ন ও পুনর্গঠনে আমাদের দীর্ঘমেয়াদী প্রতিশ্রুতি অনুসারে আমরা বিভিন্ন অংশীদারের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছি।
বিগত কয়েক সপ্তাহে দুইবার কাতার সফর করেছেন ভারতীয় পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। সেখানে তিনি কাতারি নেতাদের পাশাপাশি আফগানিস্তানে নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের বিশেষ দূত জালমে খলিলজাদের সঙ্গেও দেখা করেছেন। আফগান সরকার-তালেবানের মধ্যে শান্তি আলোচনার অন্যতম কারিগর এই খলিলজাদে এবং কাতার সরকার।
এ বিষয়ে বাগচী বলেন, কাতার আফগান শান্তিপ্রক্রিয়ায় জড়িত। এ কারণে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সফরকালে আফগানিস্তান ইস্যুতেও আলোচনা হয়েছে।
কেএএ/জেআইএম