ভিডিও EN
  1. Home/
  2. আন্তর্জাতিক

হিসাবের বাইরে ৭৫ হাজার মৃত্যু, বিহারে তথ্য লুকানোর অভিযোগ

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | প্রকাশিত: ০৯:৪৮ এএম, ২০ জুন ২০২১

চলতি বছরের প্রথম পাঁচ মাসে ভারতের বিহারে যত মানুষের মৃত্যু হয়েছে বলে সরকারি হিসাবে জানানো হয়েছে, প্রকৃতপক্ষে এই সংখ্যা তার চেয়ে ১০ গুণ বেশি। করোনায় মৃত্যু সংক্রান্ত তথ্য লুকনোর অভিযোগ উঠেছে বিহার সরকারের বিরুদ্ধে।

করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে যখন বিপর্যস্ত গোটা দেশ, সেসময় জানুয়ারি থেকে মে মাসের মধ্যে রাজ্যে ৭ হাজার ৭১৭ জন করোনা সংক্রমণে মারা গেছেন বলে দাবি করেছিল বিহার সরকার। কিন্তু ‘সিভিল রেজিস্ট্রেশন সিস্টেম’-এ নথিবদ্ধ হিসাব অনুযায়ী, ওই সময়ে বিহারে প্রায় ৭৫ হাজার মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন, যাদের মৃত্যুর কোনও কারণ উল্লেখ নেই।

কোভিড হানা দেওয়ার আগে ২০১৯ সালের প্রথম পাঁচ মাসের হিসাব অনুযায়ী, বিহারে ১ লাখ ৩০ হাজার মানুষ মারা গিয়েছিলেন। ২০২১ সালে তা প্রায় দ্বিগুণ বেড়ে হয় ২ লাখ ২০ হাজার। অর্থাৎ এক বছরেই ব্যবধান ৮২ হাজার ৯৫১।

এর মধ্যে ৬২ শতাংশের মৃত্যু হয় শুধু মে মাসেই। অথচ কী কারণে তাদের মৃত্যু হয়েছে, কোন রোগে আক্রান্ত হয়েছিলেন, তার কোনও হিসাব নেই ‘সিভিল রেজিস্ট্রেশন সিস্টেম’-এর কাছে।

সে কারণেই রাজ্য সরকারের কোভিড পরিসংখ্যান নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। কারণ চলতি বছরের প্রথম পাঁচ মাসে ৭ হাজার ৭১৭ জন করোনা রোগীর মৃত্যু হয়েছে বলে দাবি করেছে তারা। ফলে এই পরিসংখ্যান নিয়ে প্রশ্নের মুখে বিহার সরকার।

যদিও মৃত্যুর পরিসংখ্যানের ক্ষেত্রে বরাবরই দুর্নাম রয়েছে বিহারের। কোভিডের ক্ষেত্রেও সেই ধারাই অব্যাহত রয়েছে। এর আগে, মধ্যপ্রদেশ, অন্ধ্রপ্রদেশ, তামিলনাড়ু, কর্নাটক এবং দিল্লির বিরুদ্ধে কোভিডে মৃত্যু কমিয়ে দেখানোর অভিযোগ উঠেছিল। এই পাঁচ রাজ্যে অন্তত ৪ লাখ ৮০ হাজার মানুষের মৃত্য়ুর কারণ খুঁজে পাওয়া যায়নি বলে উঠে এসেছিল সংবাদমাধ্যমে।

করোনা সংক্রমণ ও মৃত্যুতে শীর্ষ অবস্থানে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। সংক্রমণে দ্বিতীয় তালিকায় রয়েছে ভারত। দেশটিতে এখন পর্যন্ত ২ কোটি ৯৮ লাখ ৮১ হাজার ৩৫২ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। মারা গেছেন ৩ লাখ ৮৬ হাজার ৭৪০ জন। আর সুস্থ হয়েছেন ২ কোটি ৮৭ লাখ ৫৮ হাজার ৪৪৭ জন।

এখন পর্যন্ত ভারতে মাত্র ৫ শতাংশ মানুষকে করোনার ভ্যাকসিনের দ্বিতীয় ডোজ দেয়া হয়েছে। চলতি বছরের শেষ নাগাদ ১৩০ কোটির বেশি জনসংখ্যার দেশটিতে ১০৮ কোটি মানুষকে ভ্যাকসিনের আওতায় আনার পরিকল্পনা নিয়েছে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার।

টিটিএন/জিকেএস