উপসর্গহীন রোগীদের প্রতি পাঁচজনে একজনের ‘লং কোভিড’ : সমীক্ষা
প্রতি পাঁচজন উপসর্গহীন করোনা রোগীর মধ্যে একজন লং কোভিডের শিকার বলে যুক্তরাষ্ট্রের এক স্বাস্থ্য সংস্থার সমীক্ষায় উঠে এসেছে। ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারি থেকে ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত প্রায় ২০ লাখ করোনা রোগীর মধ্যে সমীক্ষা চালিয়ে এই ফলাফল পাওয়া যায়।
করোনা শনাক্ত হওয়ার চার সপ্তাহ পরও যাদের শরীরে এই রোগের কিছু কিছু উপসর্গ থেকে যায় সেই অবস্থাকে লং কোভিড বা লং হল-কোভিড বলা হয়।
সমীক্ষায় দেখা যায়, তাদের করোনা ধরা পড়ার এক মাস পর থেকে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দেখা দিচ্ছে এবং তারা দীর্ঘদিন ধরে এ সমস্যায় ভুগছেন।
যুক্তরাষ্ট্রের ওই স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান রবিন জেলবার্ট বলেছেন, ‘কোভিড সংক্রমণের হার অনেকটা কমলেও আমেরিকানদের মধ্যে লং কোভিডের সমস্যা খুবই গুরুতর হয়ে দাঁড়াচ্ছে। আশা করি, আমাদের সমীক্ষার ফল তাদের অনেক ক্ষেত্রে সাহায্য করবে এবং সরকারও সেই মতো নতুন নীতি তৈরি করতে পারবে।’
সমীক্ষায় দেখা গেছে, সব বয়সের কোভিড রোগীদের মধ্যেই সবচেয়ে বেশি চোখে পড়েছে কয়েকটি দীর্ঘ উপসর্গ- ব্যথা, শ্বাস-প্রশ্বাসের সমস্যা, উচ্চ কোলেস্টেরল, ক্লান্তি ও উচ্চ রক্তচাপ। এই দীর্ঘ উপসর্গগুলো ১৯ শতাংশ উপসর্গহীন কোভিড রোগীদের মধ্যে দেখে গেছে, ২৭ শতাংশ মৃদু উপসর্গের রোগীদের এবং ৫০ শতাংশ রোগী, যাদের হাসপাতালে ভর্তি করাতে হয়েছিল।
কার কোন উপসর্গ বেশি দেখা যাচ্ছে, তা বয়সের ওপরও নির্ভর করে। যেমন- ছোটদের ক্ষেত্রে উচ্চ কোলেস্টেরলের বদলে পেটের সমস্যা বেশি দেখা দিচ্ছে। হৃদরোগের সমস্যা ছেলেদের মধ্যে বেশি দেখা গেলেও সমীক্ষা বলছে লং কোভিডে বেশি আক্রান্ত নারীরা।
এআরএ/এএসএম
সর্বশেষ - আন্তর্জাতিক
- ১ ইউক্রেনের আরও একটি গ্রাম দখল করেছে রাশিয়া
- ২ চিন্ময় দাস ইস্যুতে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিবৃতি
- ৩ পিটিআইয়ের বিক্ষোভ ঘিরে পাকিস্তানে তুলকালাম, দফায় দফায় সংঘর্ষ
- ৪ ট্রাম্প ক্ষমতা গ্রহণের আগেই বিদেশি শিক্ষার্থী-কর্মীদের যুক্তরাষ্ট্রে ফেরার পরামর্শ
- ৫ পাকিস্তান সরকারকে মানবাধিকার রক্ষার আহ্বান যুক্তরাষ্ট্রের