ভিডিও EN
  1. Home/
  2. আন্তর্জাতিক

ভারতে শিশুদের ওপর রেমডেসিভির প্রয়োগ না করার নির্দেশ

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | প্রকাশিত: ০২:৪৫ পিএম, ১০ জুন ২০২১

করোনা আক্রান্ত শিশুদের জন্য নতুন নির্দেশিকা জারি করেছে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার। নতুন এই নির্দেশিকায় করোনায় আক্রান্ত শিশুদের চিকিৎসায় রেমডেসিভির ব্যবহারে সুপারিশ করা হয়নি। এর বদলে এইচআরসিটি ইমেজিং ব্যবহারের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। নতুন এই নির্দেশিকা জারি করেছে স্বাস্থ্য পরিষেবার ডিরেক্টর জেনারেল। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, এই স্টেরয়েড উপসর্গহীন ও কম উপসর্গযুক্ত রোগীর ক্ষেত্রে ক্ষতিকারক।

স্বাস্থ্য পরিষেবা দফতর জানিয়েছেন, স্টেরয়েড শুধুমাত্র হাসপাতালেই ব্যবহার করা যাবে। তাও যদি করোনা কারো দেহে গুরুতর প্রভাব ফেলে সেক্ষেত্রেই কড়া পর্যবেক্ষণে রেখে রোগীকে দেওয়া যাবে স্টেরয়েড।

এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, সঠিক সময়ে, সঠিক ডোজে এবং সঠিক ব্যবধানে স্টেরয়েড প্রয়োগ করা যাবে। নিজের থেকেই কেউ যাতে স্টেরয়েড ব্যবহার না করেন সে পরামর্শও দেওয়া হয়েছে। কেন্দ্রের নির্দেশিকায় এও বলা হয়েছে যে, জরুরি প্রয়োজনে ব্যবহার করা যাবে অনুমোদিত ওষুধ রেমডেসিভির।

কিন্ত তা কখনই বাচ্চাদের উপর প্রয়োগ করা যাবে না। নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, ১৮ বছরের কম যাদের বয়স তারা কতটা রেমডেসিভির ওষুধকে আয়ত্ত করতে পারবে সে সম্পর্কিত সুরক্ষা এবং কার্যকারিতার তথ্যের অভাব রয়েছে। নির্দেশিকায় করোনা রোগীদের ফুসফুসের অবস্থা দেখার জন্য এইচআরসিটি ইমেজিং ব্যবহারের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

বিশেষজ্ঞরা উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন যে, করোনার তৃতীয় ঢেউ প্রভাব ফেলতে পারে শিশুদের উপর। যদিও এ নিয়ে এখনও পর্যন্ত নিশ্চিত হওয়া যায়নি। দিল্লির এইমস হাসপাতালের পরিচালক ডা. রণদীপ গুলেরিয়াও ঠিক একই কথা বলেছেন।

তার মতে, এখনও পর্যন্ত এমন কোনো প্রমাণ নেই যা প্রমাণ করে যে করোনার তৃতীয় ঢেউয়ে শিশুরা সর্বোচ্চ মাত্রায় আক্রান্ত হতে পারে। তবে তারপরেও এ বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে বলে উল্লেখ করেন তিনি।

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কোভিড ম্যানেজমেন্ট টিমের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সদস্য ডা. ভিকে পাল এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন, এটা এখনও অনিশ্চিত যে তৃতীয় ঢেউ কেবলমাত্র শিশুদের উপরই প্রভাব ফেলবে। তবে এখনও পর্যন্ত শিশুরাও প্রাপ্তবয়স্কদের মতোই আক্রান্ত হচ্ছে। তবে ভ্যাকসিন গ্রহণ করা প্রাপ্তবয়স্করা চাইলে শিশুদের রক্ষা করতে পারবেন বলে উল্লেখ করেছেন তিনি।

টিটিএন/জিকেএস