ভিডিও EN
  1. Home/
  2. আন্তর্জাতিক

ভারতে ফের বাড়ল দৈনিক আক্রান্তের হার

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | প্রকাশিত: ১০:০৯ এএম, ০৯ জুন ২০২১

করোনাভাইরাসের তাণ্ডবে রীতিমত বিপর্যস্ত ভারত। এর মধ্যেই দেশটিতে একদিনে সবচেয়ে বেশি মৃত্যুর রেকর্ড হলো। গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে ৬ হাজারের বেশি মানুষ করোনা সংক্রমণে প্রাণ হারিয়েছে।

ভারতের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের দেয়া তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশটিতে নতুন করে আক্রান্ত হয়েছে ৯৪ হাজার ৫২ জন। একই সময়ে মারা গেছে ৬ হাজার ১৪৮ জন। দেশটিতে এখন পর্যন্ত মোট আক্রান্তের সংখ্যা ২ কোটি ৯১ লাখ ৮৩ হাজার ১২১। এর মধ্যে মারা গেছে ৩ লাখ ৫৯ হাজার ৬৭৬ জন।

বৃহস্পতিবার কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় প্রকাশিত বুলেটিনে দৈনিক মৃত্যুর সংখ্যা দেখে অনেকেই হয়তো অবাক হচ্ছেন। ২৪ ঘণ্টায় ৬ হাজারের বেশি মৃত্যু দেখালেও তা আসলে একদিনের নয়।

বিভিন্ন রাজ্যে গত কয়েকদিনে যে সংখ্যক মৃত্যু হচ্ছে বৃহস্পতিবারও এই সংখ্যা তার আশপাশেই রয়েছে। কিন্তু পরিবর্তন হয়েছে শুধুমাত্র বিহারে মৃতের সংখ্যায়। বিহার কোভিডের কারণে মৃত্যু সংখ্যা পর্যালোচনা করেছে। ফলে দেশের মৃত্যু সংখ্যা একলাফে ৩ গুণ হয়েছে। বিহারে গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু দেখানো হয়েছে ৩ হাজার ৯৭১ জনের। এই সংখ্যা বাদ দিলে দেশে দৈনিক মৃত্যু দু’হাজারের আশপাশেই রয়েছে।

একদিন আগেই ভারতে আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ৯২ হাজার ৫৯৬। একই সময়ে মারা গেছে ২ হাজার ২১৯ জন। একদিনের ব্যবধানে সংক্রমণ কিছুটা বেড়েছে। একই সঙ্গে বিহারের মৃত্যুর সংখ্যা পর্যালোচনার পর মৃত্যুর সংখ্যা এক লাফে তিনগুণ বেড়ে গেছে।

মাসখানেক আগেও দেশের দৈনিক মৃত্যু হচ্ছিল ৪ হাজারের বেশি। কিন্তু গত কয়েক সপ্তাহ ধরে তা কমতে শুরু করেছে। গত তিন ধরে তা দুই থেকে আড়াই হাজারের মধ্যেই ছিল মৃত্যুর সংখ্যা। কিন্তু গত গত কয়েকদিনে বিহারে মৃত্যুর সংখ্যায় গড়মিল দেখা গেলে তা পর্যালোচনার পর অতিরিক্ত মৃত্যুর সংখ্যা গত ২৪ ঘণ্টার মৃত্যুর সংখ্যার সঙ্গে যোগ করে দেখানো হয়েছে।

ভারতে করোনা সংক্রমণে শীর্ষ অবস্থানে রয়েছে তামিলনাড়ু, কেরালা, মহারাষ্ট্র এবং কর্নাটক। গত ২৪ ঘণ্টায় তামিলনাড়ুতে আক্রান্তের সংখ্যা ১৭ হাজার ৩২১, কেরালায় ১৬ হাজার ২০১৪, মহারাষ্ট্রে ১০ হাজার ৯৮৯ এবং কর্নাটকে ১০ হাজার ৯৫৯।

এদিকে, বিহারের রাজ্য সরকার জানিয়েছে, সেখানে এখন পর্যন্ত মারা গেছে ৯ হাজার ৪২৯ জন। একদিনের ব্যবধানে সেখানে মৃত্যুর সংখ্যা লাফিয়ে বেড়েছে। এর প্রভাব পড়েছে পুরো দেশের মৃত্যুর সংখ্যাতেও।

এএমকে/টিটিএন/এমকেএইচ