ভিডিও EN
  1. Home/
  2. আন্তর্জাতিক

২১৬ দিন করোনায় আক্রান্ত, শরীরে ৩২ বার ভাইরাসের রূপ বদল

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | প্রকাশিত: ০৫:৪৬ পিএম, ০৬ জুন ২০২১

২১৬ দিন কোভিডে আক্রান্ত ছিলেন এইচআইভি রোগে আক্রান্ত ৩৬ বছর বয়সী এক নারী। তার শরীরের ভেতরে প্রায় ৩২ বারের বেশি রূপ বদলেছে প্রাণঘাতী এই ভাইরাস। চিকিৎসা বিজ্ঞান সংক্রান্ত জার্নাল মেডআরএক্সআইভি-তে দক্ষিণ আফ্রিকার ওই নারীকে নিয়ে একটি রিপোর্ট প্রকাশ করা হয়েছে। গবেষকরা তাকে নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।

ব্রিটেন ও দক্ষিণ আফ্রিকায় করোনাভাইরাসের দু'টি ধরন অর্থাৎ আলফা (বি.১.১.৭) এবং বিটা (বি.১.৩৫১) প্রথম শনাক্ত হয়। করোনার এই দু'টি ধরনই ওই নারীর দেহে পাওয়া গেছে। তবে তার শরীর থেকে অন্য কারও শরীরে ওই ধরনগুলো সংক্রমিত হয়েছে কিনা, সে বিষয়ে এখনও নিশ্চিত নন গবেষকরা।

এইচআইভিতে আক্রান্ত হওয়ার পর স্বাভাবিক ভাবেই ওই নারীর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে গেছে। গবেষকরা জানান, তিনি কোভিডে আক্রান্ত হওয়ার পর তার শরীরে করোনাভাইরাসের ১৩ বার স্পাইক প্রোটিনে এবং ১৯ বার ভাইরাসের জিনে বদল ঘটেছে।

গবেষণায় দেখা গেছে, দক্ষিণ আফ্রিকার কাওয়াজুলু নাটাল নামে একটি অঞ্চল থেকেই করোনাভাইরাসের একাধিক প্রজাতির জন্ম হয়েছে। আর ওই এলাকার প্রতি চারজনের মধ্যে অন্তত একজন মানুষ এইচআইভি রোগে আক্রান্ত।

এই বিষয়টি সামনে আসতেই গবেষকরা উদ্বেগ প্রকাশ করে জানিয়েছেন, হয়তো এইচআইভি রোগে আক্রান্তদের শরীরে দীর্ঘদিন বেঁচে থাকতে পারে করোনা ভাইরাস।

এক বছরের বেশি সময় ধরে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে তাণ্ডব চালাচ্ছে করোনাভাইরাস। এখন পর্যন্ত ২২০টি দেশ ও অঞ্চলে এই ভাইরাসের প্রকোপ ছড়িয়ে পড়েছে। সংক্রমণ ও মৃত্যুতে যুক্তরাষ্ট্র শীর্ষ অবস্থানে থাকলেও করোনায় সবচেয়ে বিপর্যস্ত এখন ভারত।

ওয়ার্ল্ডোমিটারের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৮ হাজার ৭০৭ জন। আর নতুন করে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৩ লাখ ৯৩ হাজার ৩৪৯ জন। একই সময়ে সুস্থ হয়ে উঠেছেন ৫ লাখ ৪২ হাজার ৭৬১ জন।

এর আগের ২৪ ঘণ্টায় এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ১০ হাজার ৬৫৮ জন। আক্রান্ত হন ৪ লাখ ২৪ হাজার ৮৪৬ জন। আর সুস্থ হন ৬ লাখ ৫৮ হাজার ৮৫৯ জন।

বিশ্বব্যাপী এখন পর্যন্ত করোনা আক্রান্ত হয়েছেন মোট ১৭ কোটি ৩৭ লাখ ১১ হাজার ৮১৯ জন। এর মধ্যে মারা গেছেন ৩৭ লাখ ৩৫ হাজার ৯৯০ জন। আর এখন পর্যন্ত করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন ১৫ কোটি ৬৮ লাখ ৩২ হাজার ৩৪৩ জন।

টিটিএন/এমকেএইচ