ভিডিও EN
  1. Home/
  2. আন্তর্জাতিক

আফগানিস্তানে ল্যান্ডমাইন বিস্ফোরণে নিহত ১১

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | প্রকাশিত: ১২:১০ পিএম, ০৬ জুন ২০২১

আফগানিস্তানের উত্তরাঞ্চলে একটি ল্যান্ডমাইন বিস্ফোরণের ঘটনায় কমপক্ষে ১১ জন নিহত হয়েছেন। এরা সবাই বেসামরিক নাগরিক। নিহতদের মধ্যে বেশ কয়েকজন শিশুও আছে। তারা একটি গাড়িতে করে যাওয়ার সময় রাস্তার পাশে থাকা মাইন বিস্ফোরণ হয়। খবর রয়টার্সের।

স্থানীয় কর্মকর্তারা মাইন বিস্ফোরণে হতাহতের খবর নিশ্চিত করেছেন। তারা এই ঘটনার জন্য তালেবানকে দায়ী করেছে। তবে তালেবান বা অন্য কোনো গোষ্ঠী এই হামলার দায় স্বীকার করেনি। স্থানীয় সময় শনিবার ওই হামলার ঘটনা ঘটেছে বলে নিশ্চিত করা হয়েছে।

আফগানিস্তানে শান্তি প্রক্রিয়ার বিষয়ে কাতারে তালেবানের শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে জাতিসংঘের কর্মকর্তাদের বৈঠকের কয়েক ঘণ্টা আগেই এই হামলার ঘটনা ঘটেছে। আফগানিস্তানে অবস্থানরত কূটনীতিক এবং বিভিন্ন মানবিক সহায়তা সংস্থায় নিয়োজিত লোকজনের নিরাপত্তা নিয়ে আলোচনা চলছে।

এক টুইট বার্তায় তালেবানের এক মুখপাত্র বলেন, জাতিসংঘের কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকে আফগান শান্তি প্রক্রিয়া চালিয়ে যাওয়ার দৃঢ় প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেছেন তালেবানের রাজনৈতিক কার্যালয়ের উপ-প্রধান শের মোহাম্মেদ আব্বাস স্তানিকজাই।

জাতিসংঘের সব কর্মকর্তা এবং অন্যান্য দেশের কূটনীতিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিতের বিষয়ে তালেবান প্রতিনিধিরা নিশ্চয়তা দিয়েছেন। কিন্তু দেশটিতে সরকারি বাহিনী এবং বেসামরিক নাগরিকদের ওপর সাম্প্রতিক হামলার জন্য তালেবানকেই দায়ী করছেন আফগান কর্মকর্তারা।

উত্তরাঞ্চলীয় বাদগিস প্রদেশের গভর্নর হুসামুদিম শামস জানিয়েছেন, শনিবারের বিস্ফোরণে তিন শিশুসহ ১১ জন যাত্রী নিহত হয়েছে। তারা কালা-ই-নাউ শহরের দিকে যাচ্ছিল। সে সময় বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে।

চলতি বছরের শুরুতে এখন পর্যন্ত প্রায় ১ হাজার ৮শ আফগান নাগরিক বিভিন্ন হামলায় হতাহত হয়েছে। তালেবানের সঙ্গে শান্তি আলোচনার মধ্যেই এসব হামলার ঘটনা ঘটেছে।

এদিকে চলতি বছরের ১ মে থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে সেনা প্রত্যাহার শুরু করেছে যুক্তরাষ্ট্র। এখন পর্যন্ত নিজেদের ৪৪ শতাংশ সেনা প্রত্যাহার করেছে দেশটি।

আগামী ১১ সেপ্টেম্বর টুইন টাওয়ার হামলার ২০ বছর পূর্তি উপলক্ষে বাকি সেনা প্রত্যাহারের ঘোষণা দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। মার্কিন সেনা প্রত্যাহার শুরু হওয়ার পর থেকেই নতুন শঙ্কা দেখা দিয়েছে আফগানিস্তানে। সেখানে হামলার ঘটনা আগের চেয়ে বেড়ে গেছে।

টিটিএন/জেআইএম