বিশ্বরক্ষার কৃতিত্ব নিতে গিয়ে ভারতীয়দেরই বিপদে ফেলেছে মোদি সরকার
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধে যথাযোগ্য ব্যবস্থা না নিয়ে কৃতিত্ব জাহিরের প্রতিযোগিতায় নামায় মোদি সরকারকে রীতিমতো তুলোধুনো করলেন ভারতের নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেন। তার মতে, নিজেদের জনগণকে রক্ষায় যথেষ্ট ব্যবস্থা না নিয়েই বিশ্বরক্ষার কৃতিত্ব দাবি করতে নেমেছিল ভারত সরকার। এর ফলেই দেশটিতে এত ভয়াবহ হয়ে উঠেছে মহামারির দ্বিতীয় ঢেউ।
গত শুক্রবার ‘রাষ্ট্রীয় সেবা দল’ আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখার সময় এভাবেই মোদি সরকারকে কাঠগড়ায় তোলেন অমর্ত্য সেন।
তিনি বলেন, নিজেরাই টিকা উৎপাদন শুরু করেছিল ভারত। পাশাপাশি ভারতীয়দের রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতাও তুলনামূলক বেশি। ফলে বৈশ্বিক মহামারি বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সুবিধাজনক অবস্থায় ছিল ভারত। তারপরও যে সংক্রমণ এতটা ভয়াবহ চেহারা ধারণ করল, তার পেছনে রয়েছে মোদি সরকারের ‘সংশয়াচ্ছন্ন’ মনোভাব।
বিষয়টিকে ‘সিজোফ্রেনিয়া’ রোগের সঙ্গে তুলনা করেন ভারতীয় অর্থনীতিবিদ। এই অসুখে সত্য-মিথ্যা বিচার করার ক্ষমতা লোপ পায়, যার কারণে রোগী অনেকটা ভ্রমের মধ্যে বসবাস করেন। ভারত সরকারও সেই অসুখে আচ্ছন্ন বলে ব্যঙ্গ করেন অমর্ত্য সেন।
তিনি বলেন, বৈশ্বিক মহামারি কীভাবে নিয়ন্ত্রণ করা যায় সেকথা না ভেবে সরকার নিজেদের কৃতিত্ব নিতেই বেশি ব্যস্ত ছিল। এর কারণে ওই সিজোফ্রেনিয়া তৈরি হয়। সরকার গোটা বিশ্বের কাছে কৃতিত্ব নিতে চেয়েছিল, যেন ভারত বিশ্বকে রক্ষা করবে। এর মধ্যে সমস্যা ক্রমান্বয়ে বেড়ে দেশজুড়ে ছড়িয়ে পড়ে ভারতীয়দের প্রাণ সংশয় তৈরি করে।
এক্ষেত্রে আধুনিক অর্থনীতির জনক অ্যাডাম স্মিথের একটি উক্তি স্মরণ করিয়ে দেন অমর্ত্য সেন। ১৭৬৯ সালে অ্যাডাম বলেছিলেন, কেউ সত্যিই কোনো ভালো কাজ করলে একদিন আপনাআপনিই তার স্বীকৃতি মিলবে।
সূত্র: সংবাদ প্রতিদিন
কেএএ/এএসএম