এবার করোনা চিকিৎসার ওষুধ রেমডেসিভির রফতানি নিষিদ্ধ করল ভারত
ভ্যাকসিন রফতানি বন্ধের পর এবার করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর চিকিৎসায় ব্যবহৃত ওষুধ রেমডেসিভিরের রফতানিও নিষিদ্ধ করেছে ভারত সরকার। এক আদেশে সরকার জানায়, দেশের মহামারি পরিস্থিতি স্থিতিশীল হওয়ার আগ পর্যন্ত রেমডেসিভির ইনজেকশন ও রেমডেসিভিরের সক্রিয় ওষুধ উপাদান রফতানি বন্ধ থাকবে। খবর এনডিটিভির।
সরকারের বিবৃতিতে বলা হয়, ‘ভারত সম্প্রতি করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বৃদ্ধি প্রত্যক্ষ করছে। এর ফলে করোনা রোগীদের চিকিৎসার জন্য ব্যবহৃত রেমডেসিভির ইনজকেশনের চাহিদা হঠাৎ বেড়ে গেছে। ভবিষ্যতেও এই চাহিদা বৃদ্ধির সম্ভাবনা রয়েছে।’
যুক্তরাষ্ট্রের জিলিড সায়েন্সেস কোম্পানির সঙ্গে স্বেচ্ছাসেবামূলক লাইসেন্স চুক্তির আওতায় ভারতের সাতটি কোম্পানি রেমডেসিভির উৎপাদন করে থাকে। কোম্পানিগুলোর প্রতিমাসে ৩৮ লাখ ৮০ হাজার ইউনিট উৎপাদনের সক্ষমতা রয়েছে।
আরও বেশি মানুষ যেন রেমডেসিভির পায় সেজন্য ভারত সরকার উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানগুলোকে তাদের ওয়েবসাইটে এই ওষুধের আড়তদার ও বিতরণকারীদের বিস্তারিত তথ্য প্রকাশের নির্দেশ দিয়েছে।
সরকার আরও জানায়, ‘রেমডেসিভিরের উৎপাদন বাড়ানোর জন্য ওষুধ বিভাগ স্থানীয় উৎপাদকদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছে।’
ভারতে করোনাভাইরাসের জন্য গঠিত ন্যাশনাল ক্লিনিক্যাল ম্যানেজমেন্ট প্রটোকল রেমডেসিভিরকে তদন্তাধীন চিকিৎসা হিসেবে তালিকাভুক্ত করেছে। যদিও এটি ব্যবহারের ক্ষেত্রে অবহিত করা ও অনেকে মিলে সিদ্ধান্ত নেয়া অপরিহার্য।
উল্লেখ্য, মার্চের শেষের দিকে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকা দ্বারা উদ্ভাবিত ও ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউটে উৎপাদিত করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন রফতানি সাময়িকভাবে বন্ধ করে দেয় ভারত সরকার। নিজেদের দেশে বাড়তি চাহিদার যোগান দিতে এমন সিদ্ধান্ত নেয় ভারত।
এমকে/এএএইচ
সর্বশেষ - আন্তর্জাতিক
- ১ ইউক্রেনের আরও একটি গ্রাম দখল করেছে রাশিয়া
- ২ চিন্ময় দাস ইস্যুতে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিবৃতি
- ৩ পিটিআইয়ের বিক্ষোভ ঘিরে পাকিস্তানে তুলকালাম, দফায় দফায় সংঘর্ষ
- ৪ ট্রাম্প ক্ষমতা গ্রহণের আগেই বিদেশি শিক্ষার্থী-কর্মীদের যুক্তরাষ্ট্রে ফেরার পরামর্শ
- ৫ পাকিস্তান সরকারকে মানবাধিকার রক্ষার আহ্বান যুক্তরাষ্ট্রের