ভিডিও EN
  1. Home/
  2. আন্তর্জাতিক

ইয়েমেনে শান্তি ফেরানোর প্রস্তাব সৌদি আরবের

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | প্রকাশিত: ০৯:৩০ এএম, ২৩ মার্চ ২০২১

ইয়েমেনে ছয় বছরেরও বেশি সময় ধরে চলে আসা যুদ্ধের বিপরীতে নতুন একটি শান্তি চুক্তির প্রস্তাব দিয়েছে সৌদি আরব। জাতিসংঘের তত্ত্বাবধানে সৌদি সমর্থিত ইয়েমেন সরকার এবং ইরান সমর্থিত হুথি বিদ্রোহীদের মধ্যে যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব দিয়েছে মোহাম্মদ বিন সালমানের দেশ। খবর- বিবিসি।

এই পরিকল্পনার মধ্যে রয়েছে গুরুত্বপূর্ণ আকাশ ও সামুদ্রিক যোগাযোগ এবং রাজনৈতিক সমঝোতার মতো বিষয়গুলোও। তবে হুথিদের দাবি, সৌদির এই প্রস্তাবনায় আকাশ এবং সমুদ্রপথে নিষেধাজ্ঞা উঠে যাওয়ার বিষয়ে নতুন কোনো আভাস নেই।

সম্প্রতি রিয়াদ এই প্রস্তাবনা দেয়। এর ঘোষণা দেন সৌদি পররাষ্ট্রমন্ত্রী প্রিন্স ফয়সাল বিন ফারহান। এটি মেনে নেয়ার জন্য হুথিদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। উল্লেখ্য, ইয়েমেনের একটি বড় অংশের নিয়ন্ত্রণ হুথিদের হাতে।

প্রিন্স ফয়সাল মনে করেন যত দ্রুত হুথিরা এই প্রস্তাবনা মেনে নেবে তত দ্রুতই যুদ্ধবিরতির প্রক্রিয়া শুরু হবে।

এদিকে, ইয়েমেনের ক্ষমতাসীন সরকার সৌদি আরবের এই প্রস্তাবে সায় দিলেও হুথিদের মতে এতে ‘নতুন কিছুই নেই’ এবং রাজধানী সানা ও হুদায়দাহ বন্দর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়ার ব্যাপারে সেখানে কোনো আভাস দেয়া হয়নি।

হুথির প্রধান আপস আলোচক মোহাম্মেদ আবদুলসালাম বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে বলেন, ‘আমরা আশা করেছিলাম বন্দর ও বিমানবন্দরগুলো থেকে নিষেধাজ্ঞা উঠে যাবে এবং জোট (সৌদি নেতৃত্বাধীন) কর্তৃক আটক ১৪টি জাহাজের ব্যাপারেও পদক্ষেপ নেয়া হবে।’

তিনি আরও বলেন, তার সংগঠন সৌদি আরব, যুক্তরাষ্ট্র এবং মধ্যস্থতাকারী ওমানের সঙ্গে আলোচনায় বসবে।

সৌদি কর্মকর্তারা বলছেন, জাতিসংঘ এবং যুক্তরাষ্ট্রের পরামর্শে তারা তাদের পদক্ষেপগুলো নিয়ে কাজ করছেন। যা ইয়েমেন যুদ্ধের ফলে দীর্ঘদিন ধরে চলে আসা মানবিক সঙ্কট দূর করতে সহায়তা করবে।

মাত্র একদিন আগেই যুক্তরাষ্ট্রের দেয়া যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছে হুথি বিদ্রোহীরা।

২০১৪ সালের শেষ দিকে বিদ্রোহীরা ইয়েমেনের পশ্চিমাংশের বেশিরভাগ অঞ্চলে নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করলে শুরু হয় যুদ্ধ। প্রেসিডেন্ট আব্দরব্বুহ মানসুরের শাসন পুনঃপ্রতিষ্ঠা করতে সামরিক অভিযান শুরু করে সৌদি নেতৃত্বাধীন আরব দেশগুলো। যা জন্ম দেয় এক ভয়াবহ মানবেতর পরিস্থিতির। এই যুদ্ধে লাখ লাখ মানুষ গৃহহারা হন এবং যুদ্ধের কারণে মৃত্যু হয় প্রায় দুই লাখ ৩৩ হাজার মানুষের।

এসএস/জেআইএম