করোনায় সুস্থতা ১০ কোটি ছুঁই ছুঁই
বিশ্বব্যাপী প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা দিন দিন বেড়েই চলেছে। এ পর্যন্ত করোনা আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১২ কোটি ২৮ লাখ ৭২ হাজার ৩৭৯ জনে। এর মধ্যে মারা গেছেন ২৭ লাখ ১২ হাজার ৬৫৫ জন। আর ৯ কোটি ৯০ লাখ ২৮ হাজার ৮০৬ জন এ ভাইরাস থেকে সুস্থ হয়েছেন।
শুক্রবার (২০ মার্চ) সকাল সাড়ে ৮টার সময় আন্তর্জাতিক পরিসংখ্যানভিত্তিক ওয়েবসাইট ওয়াল্ডোমিটার থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।
সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, বিশ্বে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে সবচেয়ে বেশি মৃত্যু হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রে। দেশটিতে এখন পর্যন্ত ৫ লাখ ৫৪ হাজার ১০৪ জন মারা গেছেন। বিশ্বে সর্বোচ্চ আক্রান্তের সংখ্যাও এই দেশটিতে। এখন পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রে ৩ কোটি ৪ লাখ ২৫ হাজার ৭৮৭ জন আক্রান্ত হয়েছেন। এছাড়া যুক্তরাষ্ট্রে করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন ২ কোটি ২৬ লাখ ১০ হাজার ৩২৫ জন।
যুক্তরাষ্ট্রের পর মৃত্যু বিবেচনায় করোনায় সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত দেশ ব্রাজিল। আক্রান্তের দিক থেকে তৃতীয় স্থানে থাকলেও মৃত্যু বিবেচনায় দেশটির অবস্থান দ্বিতীয়। লাতিন আমেরিকার এই দেশটিতে এখন পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছেন ১ কোটি ১৮ লাখ ৭৭ হাজার ৯ জন। তাদের মধ্যে মৃত্যু হয়েছে ২ লাখ ৯০ হাজার ৫২৫ জনের। সুস্থ হয়েছেন ১ কোটি ৩ লাখ ৮৩ হাজার ৪৬০ জন।
এদিকে আক্রান্তের দিক থেকে দ্বিতীয় স্থানে উঠে আসা ভারত মৃত্যু বিবেচনায় আছে তৃতীয় স্থানে। এ পর্যন্ত দেশটিতে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ১ কোটি ১৫ লাখ ৫৪ হাজার ৮৯৫ জন। তাদের মধ্যে মৃত্যু হয়েছে ১ লাখ ৫৯ হাজার ৫৯৪ জনের। আর সুস্থ হয়েছেন ১ কোটি ১১ লাখ ৫ হাজার ১৪৯ জন।
করোনাভাইরাসে আক্রান্তের দিক থেকে রাশিয়া চতুর্থ স্থানে রয়েছে। দেশটিতে এখন পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৪৪ লাখ ৩৭ হাজার ৯৩৮ জন। মারা গেছেন ৯৪ হাজার ২৬৭ জন। আর সুস্থ হয়েছেন ৪০ লাখ ৪৯ হাজার ৩৭৩ জন।
পঞ্চম স্থানে থাকা যুক্তরাজ্যে এখন পর্যন্ত করোনায় সংক্রমিত হয়েছেন ৪২ লাখ ৮৫ হাজার ৬৮৪ জন। এর মধ্যে মারা গেছেন ১ লাখ ২৬ হাজার ২৬ জন। আর ৩৬ লাখ ২১ হাজার ৪৯৩ জন সুস্থ হয়েছেন।
এদিকে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের তালিকায় ফ্রান্স ষষ্ঠ, ইতালি সপ্তম, স্পেন অষ্টম, তুরস্ক নবম ও জার্মানি দশম স্থানে আছে। আর বাংলাদেশের অবস্থান ৩৩তম।
২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের উহানে প্রথম করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। দেশটিতে করোনায় প্রথম রোগীর মৃত্যু হয় ২০২০ সালের ৯ জানুয়ারি। ওই বছরের ১৩ জানুয়ারি চীনের বাইরে প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হয় থাইল্যান্ডে। পরে ধীরে ধীরে বিভিন্ন দেশে করোনা ছড়িয়ে পড়ে।
করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের প্রেক্ষিতে গত বছরের ৩০ জানুয়ারি বৈশ্বিক স্বাস্থ্য জরুরি অবস্থা ঘোষণা করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। গত ২ ফেব্রুয়ারি চীনের বাইরে করোনায় প্রথম কোনো রোগীর মৃত্যুর ঘটনা ঘটে ফিলিপাইনে। এরপর গত ১১ মার্চ করোনাকে বৈশ্বিক মহামারি ঘোষণা করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।
এআরএ/এমএস