ভিডিও EN
  1. Home/
  2. আন্তর্জাতিক

মধ্যরাত থেকে এক মাসের লকডাউনে প্যারিস

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | প্রকাশিত: ০৪:২৭ পিএম, ১৯ মার্চ ২০২১

করোনা সংক্রমণের তৃতীয় ঢেউয়ের আশঙ্কা করছে ফ্যান্স। এ কারণে শুক্রবার (১৯ মার্চ) মধ্যরাত থেকে এক মাসের লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে রাজধানী প্যারিসে। এই ঘোষণার ফলে ফ্যান্সের ১৬টি স্থানের দুই কোটি ১০ লাখ মানুষ নিষেধাজ্ঞার আওতায় পড়বে বলে বিবিসি জানিয়েছে।

তবে নতুন এই লকডাউন আগের মতো ততটা কড়াকড়ি হবে না বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী জ্যঁ ক্যাস্টেক্স। তিনি বলেন, ‘লকডাউনেও লোকজন বাইরে অনুশীলনে যেতে পারবেন।’ তিনি বলেন, ‘করোনা সংক্রমণ বাড়তে থাকায় ফ্রান্সে তৃতীয় ঢেউয়ের আশঙ্কা করা হচ্ছে।

ফ্যান্সে গত ২৪ ঘণ্টায় রেকর্ড সংখ্যক ২৫ হাজার নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছেন। রাজধানী প্যারিসের অবস্থা ভয়বাহ। দেশটির স্বাস্থ্যমন্ত্রী অলিভার ভেরান বলেন, ‘কেবল রাজধানীতেই আইসিইউতে রয়েছেন এক হাজার ২০০ মানুষ। যা গত নভেম্বরে চলা দ্বিতীয় ঢেউয়ের সময়ের চেয়েও সর্বোচ্চ।’

এ অবস্থায় সেখানে লকডাউনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। নতুন নিষেধাজ্ঞার ফলে কম গুরুত্বপূর্ণ ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখতে হবে। তবে স্কুল খোলা থাকবে, পাশাপাশি সেলুন খোলা রাখা যাবে, তবে নির্দিষ্ট স্বাস্থ্যবিধি মেনে।

সরকারের মুখপাত্র গ্যাব্রিয়েল আট্টাল বলেন, ‘সম্প্রতি দেয়া দুটি লকডাউনের চেয়ে নতুন করে দেয়া লকডাউনের পার্থক্য থাকবে। কোন কোন ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান খোলা থাকবে আর কোনগুলো বন্ধ থাকবে তা পরে বিস্তারিত জানানো হবে।’

নতুন নিষেধাজ্ঞার মধ্যে লোকজন বাড়ি থেকে ১০ কিলোমিটার দূরে অনুশীলন করতে যেতে পারবেন। তবে যুক্তিযুক্ত কারণ ছাড়া দেশের অন্যান্য এলাকায় ভ্রমণ করতে পারবেন না। বাড়ির বাইরে যেতে কারণ উল্লেখ করে সংক্রমিত এলাকার বাসিন্দাদের একটি ফরম পূরণ করতে হবে।

হাটস-ডে-ফ্রান্স, সেইনে-মেরিটাইম এবং ইউরো অঞ্চল এবং ফ্রেন্স রিভিয়েরার আলপস-মেরিটাইমসসহ বৃহত্তর প্যারিস অঞ্চল এই লকডাইনের আওতায় থাকবে। এছাড়া ফ্যান্সে বিদ্যমান কারফিউ বহাল থাকবে। এক ঘণ্টা পিছিয়ে সন্ধ্যা ৭টা থেকে শুরু হয়ে সূর্যের আলো ফোটা পর্যন্ত তা কার্যকর থাকবে।

এদিকে, শুক্রবার থেকে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রজেনেকার টিকার ব্যবহারও পুনরায় শুরু হবে। এই টিকা যে নিরাপদ তা প্রমাণ করতে নিজেই টিকা নেবেন বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী ক্যাস্টেক্স।

অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটির গবেষকদের সহায়তায় তৈরি অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা নেয়ার পর বেশ কয়েকজনের শরীরে রক্ত জমাট বাঁধার অভিযোগে জার্মানি, ইতালি, স্পেন ও ফ্রান্সসহ ইউরোপের ১৩টি দেশ এর ব্যবহার স্থগিত করে। তবে এই টিকা নিরাপদ- ইউরোপীয়ান মেডিসিন এজেন্সির (ইএমএ) এমন ঘোষণার পর আবার প্রয়োগ শুরুর সিদ্ধান্ত নিয়েছে ফ্রান্স।

ইএ/এএসএম