নিউইয়র্কের গভর্নরের বিরুদ্ধে ৭টি যৌন হয়রানির অভিযোগ, পদত্যাগ দাবি
যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক অঙ্গরাজ্যের গভর্নর অ্যান্ড্রু কুয়োমোর বিরুদ্ধে একের পর এক যৌন হয়রানির অভিযোগ উঠছে। এখন পর্যন্ত ৭ জন নারী তার বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ করেছেন। ফলে তার পদত্যাগের দাবিতে সরব হয়েছেন সিনেটররা।
কুয়োমোর রাজনৈতিক সহচর চাক শমার এবং কির্স্টেন গিলিব্র্যান্ডের মতে, কুয়োমো নিউইয়র্কবাসীর ‘আস্থা হারিয়েছেন’।
এর আগে বিভিন্ন সময় ছয়জন নারী কোয়োমোর বিরুদ্ধে অপ্রত্যাশিতভাবে চুমু খাওয়া এবং শরীরের স্পর্শকাতর অংশে হাত দেয়ার অভিযোগ আনেন। শুক্রবার নিউইয়র্কের এক নারী সাংবাদিক তার বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ তোলেন।
তবে এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন নিউইয়র্ক গভর্নর। একই সঙ্গে তিনি পদত্যাগ করতেও অস্বীকৃতি জানিয়েছেন।
তার ভাষায়, ‘যেসব অভিযোগ আনা হচ্ছে তার কিছুই আমি করিনি।’ সপ্তম অভিযোগটি আসার আগে শুক্রবার তিনি বলেন, ‘আমি কখনোই কাউকে হেনস্তা করিনি। কাউকে হয়রানি বা অনাকাঙ্ক্ষিত স্পর্শ করিনি।’
এ বিষয়ে দেয়া বিবৃতিতে শমার এবং গিলিব্র্যান্ড বলেন, ‘একাধিক বিশ্বাসযোগ্য যৌন হয়রানি এবং অনাকাঙ্ক্ষিত আচরণের অভিযোগ ওঠার পর কুয়োমো তার রাজনৈতিক সহচর এবং নিউইয়র্কের জনগণের আস্থা হারিয়েছেন। গভর্নের পদ থেকে তার পদত্যাগ করা উচিত।’
এর আগে, নিউইয়র্কের কংগ্রেসওম্যান আলেক্সান্দ্রিয়া ওকাসিয়ো-কর্টেজ এবং কংগ্রেসম্যান জামাল বৌম্যানও এক যৌথ বিবৃতিতে এসব অভিযোগকে সত্য আখ্যা দিয়ে কুয়োমোর পদত্যাগ দাবি করেছিলেন। তাদের মতে, ‘এতগুলো অভিযোগের মুখোমুখি হয়ে তিনি গভর্নর পদে থাকার যোগ্যতা হারিয়েছেন।’
একই সুর শোনা গেছে নিউইয়র্ক সিটির মেয়র বিল ডে ব্ল্যাসিওর গলায়ও। তিনি কুয়োমোর দীর্ঘদিনের রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বী।
আগামী বছর গভর্নর হিসেবে কুয়োমোর অফিসের মেয়াদ শেষ হতে যাচ্ছে। নিজের অঙ্গরাজ্যে করোনাভাইরাস মহামারির সময় দক্ষতার পরিচয় দেয়ার কারণে গত বছর তিনি বেশ প্রশংসিত হয়েছিলেন।
এ বিষয়ে একটি নিরপেক্ষ তদন্তের অপেক্ষা করছেন বলে জানিয়েছেন গভর্নর কুয়োমো।
এসএস/এএসএম