ভিডিও EN
  1. Home/
  2. আন্তর্জাতিক

‘উদ্বেগে’ অ্যাস্ট্রাজেনেকা টিকার ব্যবহার বন্ধ একাধিক দেশে

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | প্রকাশিত: ০৯:৩৯ পিএম, ১২ মার্চ ২০২১

ব্রিটিশ-সুইডিশ ফার্মাসিউটিক্যাল জায়ান্ট অ্যাস্ট্রাজেনেকার তৈরি করোনাভাইরাসরোধী ভ্যাকসিন নেওয়ার পর বেশ কয়েকজনের শরীরে রক্ত জমাট বাঁধার অভিযোগের জেরে সেটির ব্যবহার আপাতত বন্ধ করে দিয়েছে বেশ কয়েকটি দেশ। অবশ্য ভ্যাকসিনের কারণেই ওইসব ব্যক্তির শারীরিক সমস্যা দেখা দিয়েছে, এমন কোনও প্রমাণ এখনও পাননি গবেষকরা। আর বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাও বলছে, ভ্যাকসিনটি নিরাপদ।

বিবিসির খবর অনুসারে, ইউরোপে এ পর্যন্ত প্রায় ৫০ লাখ মানুষ অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটির গবেষকদের সহায়তায় তৈরি অ্যাস্ট্রাজেনেকার ভ্যাকসিন নিয়েছেন। এর মধ্যে ৩০ জনের শরীরে ভ্যাকসিন গ্রহণের পর রক্ত জমাট বেঁধেছে বলে সম্প্রতি অভিযোগ উঠেছে।

এর জেরে ডেনমার্ক, নরওয়ে ও আইসল্যান্ড ভ্যাকসিনটির ব্যবহার সাময়িক বন্ধ ঘোষণা করেছে। এছাড়া, ইতালি এবং অস্ট্রিয়া বাড়তি সতর্কতা হিসেবে ভ্যাকসিনটির একটি নির্দিষ্ট ব্যাচের ডোজ প্রয়োগ বন্ধ রেখেছে।

এশিয়ার প্রথম দেশ হিসেবে অ্যাস্ট্রাজেনেকা ভ্যাকসিন ব্যবহার স্থগিত করেছে থাইল্যান্ড। শুক্রবার দেশটির প্রধানমন্ত্রী নিজে ভ্যাকসিন গ্রহণের মাধ্যমে এই কর্মসূচি শুরু করার কথা ছিল। তবে সেই পরিকল্পনা আপাতত বাতিল করা হয়েছে।

jagonews24

থাইল্যান্ডের জনস্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বলছে, দেশটিতে করোনার সংক্রমণ কম এবং আপাতত নির্ভর করার মতো অন্য ভ্যাকসিন যথেষ্ট পরিমাণে হাতে থাকায় ঝুঁকি এড়াতে এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে তারা।

এই তালিকায় সবশেষ যোগ হয়েছে বুলগেরিয়া। অ্যাস্ট্রাজেনেকা ভ্যাকসিন নিরাপদ কি-না তা নিশ্চিত করতে ইউরোপীয় ওষুধ সংস্থার (ইএমএ) কাছে লিখিত বিবৃতিও দাবি করেছে দেশটি।

অবশ্য গত বৃহস্পতিবারই ইএমএ বলেছে, ভ্যাকসিনের প্রভাবে রক্ত জমাট বেঁধেছে, এমন কোনও প্রমাণ নেই। পাশাপাশি তারা আবারও মনে করিয়ে দিয়েছে. ভ্যাকসিন গ্রহণে ঝুঁকির চেয়ে উপকারই বেশি।

রক্তজমাট বাঁধার অভিযোগের প্রেক্ষিতে অ্যাস্ট্রাজেনেকা বলেছে, ভ্যাকসিনটি নিরাপদ কি-না তা ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের সময়ই ব্যাপকভাবে পরীক্ষা করা হয়েছে।

jagonews24

বাকি দেশগুলোর মধ্যে পর্তুগাল, অস্ট্রেলিয়া, মেক্সিকো ও ফিলিপাইন জানিয়েছে, তারা অ্যাস্ট্রাজেনেকা ভ্যাকসিন ব্যবহার স্থগিত করবে না।

কী বলছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা?

ডব্লিউএইচও বলেছে, আতঙ্কের জেরে কোনও দেশের অ্যাস্ট্রাজেনেকা ভ্যাকসিন ব্যবহার বন্ধ করা উচিত নয়। কারণ এটি নেওয়ার পর রক্ত জমাট বেঁধেছে, এই অভিযোগ সত্য হওয়ার মতো কোনও লক্ষণ এখন পর্যন্ত দেখা যায়নি।

জাতিসংঘের এ সংস্থার মুখপাত্র মার্গারেট হ্যারিসের মতে, এটি খুব ‘চমৎকার ভ্যাকসিন’ এবং এর ব্যবহার চালিয়ে যাওয়া উচিত।

তিনি জানিয়েছেন, ভ্যাকসিন নেওয়ার পর রক্ত জমাট বাঁধার অভিযোগের বিষয়ে তদন্ত করছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।

কেএএ/জেআইএম