পারমাণবিক স্থাপনা পরিদর্শনের সময় বাড়াতে সম্মত ইরান
জাতিসংঘের পারমাণু বিষয়ক পর্যবেক্ষক অঙ্গ সংগঠন আন্তর্জাতিক পরমাণু শক্তি সংস্থার (আইএইএ) প্রধান জানিয়েছেন, পারমাণবিক স্থাপনাগুলো পরিদর্শনের সময়সীমা তিনমাস পর্যন্ত বাড়াতে সম্মত হয়েছে ইরান। খবর বিবিসির।
তবে এক্ষেত্রে শর্ত জুড়ে দিয়েছে দেশটি। আইএইএ’র কর্মকর্তারা সীমিত পরিসরে পরিদর্শনের সুযোগ পাবেন এবং কোনো ঝটিকা সফর পরিচালনা করতে পারবেন না।
সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ২০১৫ সালে পারমাণবিক চুক্তি ত্যাগ করার পর যুক্তরাষ্ট্র এখন পর্যন্ত ইরানের ওপর থেকে অবরোধ তুলে নেয়নি। এতে গত কয়েক বছরে ইরানের অর্থনীতিতে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। এ কারণে মঙ্গলবার থেকে পরমাণু স্থাপনা পরিদর্শনের নীতি পরিবর্তন করতে যাচ্ছে দেশটি।
অবরোধের কারণে ইরানও চুক্তির শর্ত ভঙ্গ করে ২০১৯ সাল থেকে পারমাণবিক কর্মসূচী পুনরায় শুরু করে। এ বছরের শুরুর নাগাদ ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ ২০ শতাংশ পর্যন্ত বাড়ানো হবে বলে ঘোষণা দেয় দেশটি।
ইরানের পক্ষ থেকে বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্র যদি ২০১৫ সালের চুক্তি পুরোপুরি মেনে না চলে তাহলে তারাও পরমাণু কর্মসূচী পরিবর্তন করবে না। গত ২০ বছর ধরে বিশ্ব রাজনীতিতে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু হয়ে উঠেছে ইরানের পরমাণু কর্মসূচী। ইরান বলছে, তারা শান্তিপূর্ণ উদ্দেশ্যে পরমাণু কর্মসূচী চালাচ্ছে; যদিও যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্রদের দাবি, ইরান গোপনে পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির কাজ করছে।
কিন্তু পরিদর্শনের সময় বৃদ্ধির ফলে ওয়াশিংটন ও তেহরান এখন সমঝোতার জন্য আরও সময় পাবে।
মঙ্গলবার ইরানের সংসদ সদস্যদের দ্বারা প্রণীত আইনের ফলে আইএইএ’র বিশেষজ্ঞরা পারমাণবিক স্থাপনায় স্বল্প সময়ের নোটিসে বা নোটিস বহির্ভূতভাবে কোনো পরিদর্শন করতে চাইলে ইরান সরকার তা বন্ধ করতে পারবে।
এ সপ্তাহের শেষে তেহরানের সঙ্গে আলাপ শেষে আইএইএ’র প্রধান রাফায়েল গ্রোসসি বলেন, ‘এই আইনটি আছে। এই আইন প্রয়োগ করা হবে। এর মানে হচ্ছে অতিরিক্ত প্রটোকল স্থগিত করা হবে। এটা আমার জন্য আফসোসের বিষয়।’
তিনি আরও বলেন, ‘পরিদর্শনের সুযোগ এখন সীমিত, এটা আমাদের মানতে হবে। তবে এরপরও আমরা প্রয়োজনীয় পর্যবেক্ষণ ও যাচাই করতে সক্ষম হব।’
সম্প্রতি বাইডেন প্রশাসন ইরানের সঙ্গে পারমাণবিক কার্যক্রম নিয়ে আলোচনা করতে ইচ্ছা প্রকাশ করেছে। পরমাণু স্থাপনা পরিদর্শনের সময় বৃদ্ধির ফলে এই আলোচনার আয়োজনে আরও সময় পাওয়া গেল।
এমকে/জেআইএম