মহামারি কাটিয়ে স্বাভাবিক জীবনে ফিরছে ইসরায়েল
করোনাভাইরাস মহামারির পরিস্থিতি কাটিয়ে স্বাভাবিক জীবনযাত্রায় ফিরছে ইসরায়েল। প্রায় অর্ধেক জনগোষ্ঠীকে ভ্যাকসিন দেয়ার ফলে দেশটির অর্থনীতি খুলে দেয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। খবর আল জাজিরার।
রোববার থেকে ইসরায়েলের দোকানপাট, জিম ও থিয়েটার খুলে দেয়া হয়েছে। তবে যারা ভ্যাকসিন নিয়েছেন ও করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে সুস্থ হয়েছেন শুধুমাত্র তারাই জিম ও থিয়েটারে প্রবেশের অনুমতি পাবেন।
‘গ্রিন পাস’ অ্যাপের মাধ্যমে অনুমতির ব্যবস্থা করা হয়েছে। দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এই অ্যাপ তৈরি করেছে যা নাগরিকদের ব্যক্তিগত চিকিৎসা নথির সঙ্গে সংযুক্ত।
তবে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার নিয়ম এখনো কার্যকর রয়েছে। বাংকুয়েট হলে নাচ নিষিদ্ধ করা হয়েছে এবং সিনাগগ, মসজিদ ও গির্জায় উপাসনাকারীদের সংখ্যা অর্ধেকে রাখার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
করোনাভাইরাস গবেষণায় বিশ্বের সবচেয়ে বড় কেন্দ্র হওয়ায় ব্যাপকমাত্রায় ভ্যাকসিন প্রয়োগ কর্মসূচী চালাতে পেরেছে ইসরায়েল। এ কারণেই দেশটির অর্থনীতি খুলে দেয়ার প্রক্রিয়া তৈরি হয়েছে। ইসরায়েল ভ্যাকসিন নির্মাতা প্রতিষ্ঠান ফাইজারের সঙ্গে এক চুক্তি করে যার আওতায় ফাইজার সেখানে ব্যাপকমাত্রায় নিয়মিত ভ্যাকসিন প্রয়োগ করছে এবং এর বিনিময়ে ইসরায়েল কোম্পানিটিকে প্রচুর সংখ্যক মেডিক্যাল ডেটা সরবরাহ করছে।
ইসরায়েলের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, দেশটির ৯০ লাখ জনসংখ্যার ৪৫ শতাংশ ইতোমধ্যে ফাইজার-বায়োএনটেকের ভ্যাকসিনের অন্তত একটি ডোজ গ্রহণ করেছে।
মন্ত্রণালয়ের তথ্যে দেখা গেছে, দুই ডোজের ফলে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ৯৫.৮ শতাংশ কমেছে। এছাড়া জ্বর ও শ্বাসকষ্ট জনিত সমস্যা ৯৮ শতাংশ কমেছে এবং হাসপাতালে যাওয়া ও মৃত্যু হার কমেছে ৯৮.৯ শতাংশ।
প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর বরাত দিয়ে বিবিসি জানিয়েছে, পঞ্চাশোর্ধ ইসরায়েলিদের ৯৫ শতাংশকে আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে ভ্যাকসিন দেয়া সম্পন্ন হবে।
এ সপ্তাহের শুরুতে ইসরায়েল তাদের সীমান্ত ব্যবহারের অনুমতি দেয়ার পর গাজা উপত্যকায় করোনাভাইরাস ভ্যাকসিনের প্রথম ডোজ পৌঁছেছে। এই ভ্যাকসিনের মালামালের মধ্যে রাশিয়ার স্পুটনিক ৫ ভ্যাকসিনও ছিল। যেসব রোগীর অঙ্গ প্রতিস্থাপিত হয়েছে অথবা কিডনি নষ্ট হয়ে গিয়েছে তাদের রাশিয়ার ভ্যাকসিন প্রয়োগ করা হবে।
এমকে/এমকেএইচ