ভিডিও EN
  1. Home/
  2. আন্তর্জাতিক

যুক্তরাষ্ট্রে অভ্যন্তরীণ ফ্লাইটেও লাগবে করোনার নেগেটিভ সনদ

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | প্রকাশিত: ০২:৩৩ পিএম, ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০২১

যুক্তরাষ্ট্রে অভ্যন্তরীণ ফ্লাইটেও এখন থেকে করোনাভাইরাসের নেগেটিভ সনদ দেখাতে হবে। ফেডারেল কর্মকর্তারা ফ্লাইটে ওঠার আগেই যাত্রীদের কাছ থেকে করোনা সনদ পরীক্ষা করে দেখবেন। পরিবহনমন্ত্রী পিট বুটিগিগ নতুন এই নির্দেশনার কথা জানিয়েছেন।

গত মাসে সেন্টার্স ফর ডিজেজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনসন (সিডিসি) ইতোমধ্যেই আন্তর্জাতিক সব ফ্লাইটে করোনার নেগেটিভ সনদ বাধ্যতামূলক করেছে। এবার যুক্তরাষ্ট্রের অভ্যন্তরেও সব ধরনের ফ্লাইটে করোনার নেগেটিভ সনদ দেখাতে হবে বলে জানানো হয়েছে।

স্থানীয় সময় রোববার রাতে টেলিভিশনে সম্প্রচারিত একটি প্রোগ্রামে বুটিগিগ নতুন নির্দেশনা সম্পর্কে জানিয়েছেন। তিনি জানান, সিডিসির সঙ্গে এ বিষয়ে সরাসরি আলোচনা হয়েছে। তিনি বলেন, আমি আপনাদের বলতে পারি যে, এই নির্দেশনা এখন থেকে চালু হতে যাচ্ছে।

সোমবার এ বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে হোয়াইট হাউস থেকে এক বিবৃতিতে সিডিসির পরিচালক ডা. রোচেল ওয়ালেনস্কি বলেন, বিমানবন্দরের মতো বিভিন্ন জনবহুল স্থানে করোনাভাইরাসের পরীক্ষা-নিরীক্ষা বাড়ানো হলে এই ভাইরাসের সংক্রমণ রোধ করা সম্ভব হবে। এতে করে উপসর্গহীন রোগীদেরও শনাক্ত করা যাবে বলে জানানো হয়েছে।

বিমানবন্দরে এক সঙ্গে অনেক মানুষ চলাফেরা করে ফলে আক্রান্ত ব্যক্তি থেকে সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার ঝুঁকি অনেক বেড়ে যায়। ব্রিটেন, আফ্রিকাসহ বিভিন্ন দেশে করোনার নতুন ধরন শনাক্ত হওয়ায় নতুন করে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে। সে কারণে আন্তর্জাতিক ভ্রমণকারীদের করোনা পরীক্ষার প্রয়োজনীয়তাও অনেক বেড়েছে।

রোববার প্রকাশিত এক গবেষণায় বলা হয়েছে, বি.১.১.৭ নামে ব্রিটেনের করোনার যে নতুন ধরনটি পাওয়া গেছে তা ইতোমধ্যেই যুক্তরাষ্ট্রে ছড়িয়ে পড়েছে। হোয়াইট হাউস থেকে সংবাদ সম্মেলনে ডা. ওয়ালেনস্কি বলেন, আমাদেরকে প্রতিটি কেসই সঠিকভাবে পরিচালনা করতে হবে।

স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা প্রথম থেকেই সব ধরনের অপ্রয়োজনীয় ভ্রমণের বিষয়ে সতর্ক করে আসছেন। সামাজিক দূরত্ব মেনে চলা এবং মাস্ক ব্যবহারের বিষয়েও জোর দেয়া হচ্ছে।

মহামারির কারণে আন্তর্জাতিক এবং অভ্যন্তরীণ বিমান চলাচল অনেক কমে গেছে। যুক্তরাষ্ট্রের পরিবহন নিরাপত্তা প্রশাসনের দেয়া তথ্য অনুযায়ী, রোববার প্রায় ৮ লাখ ৫৫ হাজার যাত্রী চলাচল করেছে। ২০১৯ এবং ২০২০ সালে একই তারিখের হিসেবে এই সংখ্যা ছিল ২০ লাখেরও বেশি।

টিটিএন/জিকেএস