ভিডিও EN
  1. Home/
  2. আন্তর্জাতিক

করোনায় মৃত্যু ২১ লাখ ৬৭ হাজার ছাড়াল

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | প্রকাশিত: ১০:২৭ এএম, ২৭ জানুয়ারি ২০২১

মহামারি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা দিন দিন বেড়েই চলেছে। বিশ্বব্যাপী এখন পর্যন্ত করোনা আক্রান্ত রোগী ১০ কোটি আট লাখ ২৫ হাজার ১১৮ জনে দাঁড়িয়েছে। এতে মারা গেছেন ২১ লাখ ৬৭ হাজার ১৮ জন আর সুস্থ হয়েছেন সাত কোটি ২৮ লাখ ৩৯ হাজার ৪৫৯ জন মানুষ।

বুধবার (২৭ জানুয়ারি) আন্তর্জাতিক পরিসংখ্যানভিত্তিক ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডোমিটার থেকে এসব তথ্য জানা গেছে। তাদের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, করোনা মহামারিতে এ পর্যন্ত বিশ্বের ২১৯টি দেশ ও অঞ্চল আক্রান্ত হয়েছে।

বিশ্বে করোনায় সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত দেশ যুক্তরাষ্ট্র। দেশটিতে করোনায় সংক্রমিত শনাক্ত রোগীর সংখ্যা দুই কোটি ৬০ লাখ ১১ হাজার ২২২ জন। এর মধ্যে মারা গেছেন চার লাখ ৩৫ হাজার ৪৫২ জন আর সুস্থ হয়েছেন এক কোটি ৫৭ লাখ ৬৭ হাজার ৪১৩ জন।

ক্ষতিগ্রস্ত দেশের তালিকায় ভারতের অবস্থান দ্বিতীয়। দেশটিতে করোনায় সংক্রমিত হয়েছেন এক কোটি ৬ লাখ ৯০ হাজার ২৭৯ জন। এর মধ্যে মারা গেছেন এক লাখ ৫৩ হাজার ৭৫১ জন আর সুস্থ হয়েছেনে এক কোটি ৩ লাখ ৫৮ হাজার ৩২৮ জন।

করোনা সংক্রমণের দিক থেকে তৃতীয় অবস্থানে আছে ব্রাজিল। সেখানে করোনায় সংক্রমিত হিসেবে শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ৮৯ লাখ ৩৬ হাজার ৫৯০ জন। এর মধ্যে মারা গেছেন দুই লাখ ১৮ হাজার ৯১৮ জন এবং সুস্থ হয়েছেন ৭৭ লাখ ৯৮ হাজার ৬৫৫ জন।

তালিকায় রাশিয়ার অবস্থান চতুর্থ, যুক্তরাজ্য পঞ্চম, ফ্রান্স ষষ্ঠ, স্পেন সপ্তম, ইতালি অষ্টম, তুরস্ক নবম ও জার্মানি রয়েছে দশম অবস্থানে। তালিকায় বাংলাদেশের অবস্থান ৩১তম। এছাড়া ভাইরাসটির উৎপত্তিস্থল চীনে বর্তমানে আক্রান্তের সংখ্যা ৮৯ হাজার ২৭২ জন। এর মধ্যে চার হাজার ৬৩৬ জনের মৃত্যু হয়েছে।

২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের উহানে প্রথম করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। চীনে করোনায় প্রথম কোনো রোগীর মৃত্যু হয় গত বছরের বছরের ৯ জানুয়ারি। ওই বছরের ১৩ জানুয়ারি চীনের বাইরে প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হয় থাইল্যান্ডে। পরে ধীরে ধীরে বিভিন্ন দেশে করোনা ছড়িয়ে পড়ে।

করোনার প্রাদুর্ভাবের পরিপ্রেক্ষিতে গত বছরের ৩০ জানুয়ারি বৈশ্বিক স্বাস্থ্য জরুরি অবস্থা ঘোষণা করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। গত ২ ফেব্রুয়ারি চীনের বাইরে করোনায় প্রথম কোনো রোগীর মৃত্যুর ঘটনা ঘটে ফিলিপাইনে। এরপর গত ১১ মার্চ করোনাকে বৈশ্বিক মহামারি ঘোষণা করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।

এমআরআর/এমকেএইচ