অর্থ পাচার রুখতে ২২ দেশের মধ্যে সহযোগিতার উদ্যোগ
দুর্নীতির মাধ্যমে অর্জিত সম্পদের পাচার রুখতে চীন ও যুক্তরাষ্ট্রসহ এশিয়া ও প্রশান্ত-মহাসাগরীয় অঞ্চলের দেশগুলো নিজেদের মধ্যে সহযোগিতা বাড়াবে। এ ব্যাপারে আগামি সপ্তাহে বেইজিংয়ে এপেক জোটের এক সভায় একটি প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামো দাঁড় করানো হবে। অবৈধভাবে বিদেশে পাচার করা সম্পদ দেশে ফিরিয়ে আনার জন্য একযোগে কাজ করবে জোটের দেশগুলো।
দুর্নীতি বন্ধে এই সহযোগিতা চুক্তির প্রস্তাব করেছিল চীন। দুর্নীতি নিয়ে চীনের কমিউনিষ্ট পার্টির মধ্যে উদ্বেগ বাড়ছে এবং চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিন পিং দুর্নীতির বিরুদ্ধে অভিযানও জোরদার করেছেন। দুর্নীতি করে কেউ যেন অন্যদেশে গিয়ে নিরাপদ আশ্রয় না পায়, সেজন্যে বিভিন্ন দেশের মধ্যে সহযোগিতা বাড়ানো তাদের প্রস্তাবিত চুক্তির মূল লক্ষ্য।
এখন এই প্রস্তাব অনুযায়ী এশিয়া প্যাসিফিক ইকনমিক ফোরাম বা অ্যাপেক একটি দুর্নীতি বিরোধী নেটওয়ার্ক স্থাপন করতে যাচ্ছে। যে ২১ দেশ এতে যোগ দিয়েছে, তারা অন্যদেশে দুর্নীতির অভিযোগ আছে এমন কাউকে আশ্রয় দেবে না, তাদের বিচারের জন্য ফেরত পাঠাবে এবং দুর্নীতির মাধ্যমে পাচার করা সম্পদ উদ্ধারে সহযোগিতা করবে।
মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রী জন কেরি এই চুক্তিকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, এই সহযোগিতা দুর্নীতি বন্ধে এক বড় পদক্ষেপ। দুর্নীতির ফলে কেবল যে অসম প্রতিযোগিতার সুযোগ তৈরি হয় তা নয়, এর ফলে অর্থনৈতিক সম্পর্ক নষ্ট হয়, এবং প্রত্যেকটা দেশের মানুষের সম্পদ চুরির সুযোগ তৈরি হয়।
কেবল এ বছরেই চীনে ১৩ হাজার কর্মকর্তাকে দুর্নীতির দায়ে সাজা দেয়া হয়েছে। দুর্নীতির বিরুদ্ধে চীনের কর্তৃপক্ষের এই অভিযানে কমিউনিষ্ট পার্টির উচ্চপদে আসীন থেকে শুরু করে চুনোপুটি -কাউকেই বাদ দেয়া হচ্ছে না।
কিন্তু চীনা কর্তৃপক্ষ মনে করছে, তাদের অভিযানের সাফল্য অনেকখানি নির্ভর করবে নতুন চুক্তির অধীনে অন্য দেশগুলো থেকে কতোটা সহযোগিতা তারা পায়, তার ওপর। -বিবিসি