ভিডিও EN
  1. Home/
  2. আন্তর্জাতিক

ইরাক-আফগানের চেয়ে ওয়াশিংটন সামলাতে বেশি সেনা লাগছে যুক্তরাষ্ট্রের

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | প্রকাশিত: ০৪:২৮ পিএম, ১৪ জানুয়ারি ২০২১

৯/১১ হামলার পর থেকে ইরাক-আফগানিস্তানসহ মধ্যপ্রাচ্য ও এশিয়ার বিভিন্ন দেশে কথিত ‘শান্তিরক্ষা’র অজুহাতে বিপুল সংখ্যক সেনা মোতায়েন করে রেখেছে যুক্তরাষ্ট্র। তবে বিদেশের চেয়ে নিজেদের রাজধানীতেই শান্তি বজায় রাখতে যে আরও বেশি নিরাপত্তারক্ষীর দরকার পড়বে, তা হয়তো স্বপ্নেও ভাবেননি মার্কিন নীতিনীর্ধারকরা। অথচ সেটাই এখন বাস্তবতা।

নবনির্বাচিত মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের অভিষেক অনুষ্ঠান সামনে রেখে ওয়াশিংটনে ১০ হাজার ন্যাশনাল গার্ড সদস্য মোতায়েন করছে যুক্তরাষ্ট্র, যা ইরাক ও আফগানিস্তানে মোতায়েন মোট মার্কিন সেনার প্রায় দ্বিগুণ। মুসলিমপ্রধান দেশ দু’টিতে বর্তমানে পাঁচ হাজারের মতো সেনা রয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের।

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম মেট্রোর তথ্যমতে, ইতোমধ্যেই ওয়াশিংটনে ৬ হাজার ২০০ জন গার্ড সদস্য পৌঁছেছেন। রাজধানীর ‘শান্তিরক্ষা’য় যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে বাকি সদস্যরাও আসতে শুরু করেছেন। আগামী ২০ জানুয়ারি বাইডেনের শপথগ্রহণের আগেই বাকি নিরাপত্তা সদস্যরা ওয়াশিংটন ডিসিতে পৌঁছাবেন।

jagonews24

গণমাধ্যমে প্রকাশিত ছবিতে দেখা যায়, ন্যাশনাল গার্ড সদস্যরা ক্যাপিটল ভবনের বিভিন্ন জায়গায় মেঝেতে শুয়ে-বসে সময় কাটাচ্ছেন। কেউ কেউ হাত থাকা অস্ত্র ঠিকঠাক আছে কি না, তা পরীক্ষা করছেন।

ন্যাশনাল গার্ডের চিফ জেনারেল ড্যানিয়েল হোকানসন জানিয়েছেন, ক্যাপিটল ভবনে ট্রাম্পপন্থীদের হামলার মতো ঘটনা এড়াতে প্রয়োজনে ১৫ হাজার গার্ড সদস্য মোতায়েনের অনুমোদন দেয়া হয়েছে।

jagonews24

গত সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্রের পার্লামেন্ট ভবনে ট্রাম্প-সমর্থকদের দাঙ্গায় এক পুলিশসহ অন্তত পাঁচজন প্রাণ হারান। বাইডেনের শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান ঘিরে এরচেয়েও বড় সহিংসতার আশঙ্কা রয়েছে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছে মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা এফবিআই।

সংস্থাটি বলছে, সশস্ত্র কিছু গ্রুপ যুক্তরাষ্ট্রের ৫০টি অঙ্গরাজ্যজুড়ে হামলার পরিকল্পনা করছে। বাইডেনের শপথ গ্রহণের আগে বিভিন্ন অঙ্গরাজ্য এবং ওয়াশিংটন ডিসির ক্যাপিটল ভবনে হামলা চালানোর প্রস্তুতি নিচ্ছে এসব গ্রুপ।

jagonews24

অবশ্য দেশটিতে আরও আগে থেকেই অভ্যন্তরীণ সহিংসতার আশঙ্কা দানা বাঁধতে শুরু করেছিল। গত বছরের অক্টোবরে হোমল্যান্ড সিকিউরিটির এক প্রতিবেদনে সতর্ক করে বলা হয়েছিল, উগ্র শেতাঙ্গ আধিপত্যবাদীরাই ‘স্বদেশের সবচেয়ে বড় হুমকি’।

তাদের দাবি, বিদেশী সন্ত্রাসী গোষ্ঠীগুলো যুক্তরাষ্ট্রে হামলা চালিয়ে যাওয়ার আহ্বান জানাবে। তবে সম্ভবত ২০২১ সালব্যাপী তারা এই ধরনের কার্যক্রম পরিচালনায় সফল হবে না।

কেএএ/জেআইএম