যুক্তরাষ্ট্রে ভ্যাকসিন নিয়েছে এক কোটিরও বেশি মানুষ
যুক্তরাষ্ট্রে বুধবার পর্যন্ত এক কোটিরও বেশি মানুষ করোনাভাইরাস ভ্যাকসিনের প্রথম ডোজ নিয়েছে। দেশটির রোগ নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধ কেন্দ্রের বরাত দিয়ে এ তথ্য জানিয়েছে রয়টার্স।
ভ্যাকসিন কারা আগে পাবেন সে বিষয়ে ট্রাম্প প্রশাসন মঙ্গলবার নতুন নির্দেশনা জারির পরের দিনই ভ্যাকসিন গ্রহণকারীর সংখ্যা ১ কোটি ২ লাখ স্পর্শ করল। আগের নির্দেশে শুধুমাত্র স্বাস্থ্যকর্মীদের প্রথমে ভ্যাকসিন দেয়ার নিয়ম থাকায় ভ্যাকসিন প্রদান কার্যক্রম ধীর গতিতে চলছিল। নতুন নির্দেশে ৬৫ বছরের বেশি প্রত্যেককে ভ্যাকসিন দিতে বলা হয়েছে।
মঙ্গলবার একদিনের আক্রান্তের সংখ্যায় নতুন রেকর্ড করেছে যুক্তরাষ্ট্র। রয়টার্সের তথ্যমতে, এদিন করোনা সংক্রমণে নতুন করে ৪ হাজার ৩শ ৩৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। স্বাস্থ্য ও মানব সেবা বিষয়ক মন্ত্রী অ্যালেক্স আজার মঙ্গলবার জানান, প্রশাসন দুটি অনুমোদিত ভ্যাকসিনের পূর্ণ মজুদ অবমুক্ত করতে যাচ্ছে। এর মধ্যে দ্বিতীয় ডোজের জন্য মজুদকৃত ভ্যাকসিনও রয়েছে।
মডার্না ও ফাইজারের তৈরি তিন কোটি ভ্যাকসিন যুক্তরাষ্ট্রের অঙ্গরাজ্যগুলোতে বিতরণ করা হয়েছে। এর তিন ভাগের এক ভাগ এখন পর্যন্ত ব্যবহার করা হয়েছে।
বুধবার জনসন অ্যান্ড জনসন জানিয়েছে, আগামী মার্চে এক ডোজ বিশিষ্ট করোনা ভ্যাকসিন অবমুক্ত করতে কোম্পানিটি কাজ করে যাচ্ছে। জনসন অ্যান্ড জনসনের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ডা. পল স্টোফেলস মঙ্গলবার রয়টার্সকে বলেন, তাদের নির্ধারিত তারিখ অনুযায়ী এই বছরের শেষ নাগাদ তারা একশো কোটি ভ্যাকসিন বিতরণ করতে পারবে।
যুক্তরাষ্ট্রের অনেক রাজনৈতিক নেতা ও স্বাস্থ্য কর্মকর্তা তাদের স্থানীয় অধিবাসীদের আরও ভ্যাকসিন দিতে সম্প্রতি সক্রিয়ভাবে কাজ শুরু করেছেন। অনেক জায়গায় ৬৫ বছরের কম বয়সীদেরও ভ্যাকসিন দেয়া হচ্ছে। ক্যালফোর্নিয়া ও নিউ ইয়র্ক তাদের প্রত্যেকের অঙ্গরাজ্যে এই মাসের মধ্যে ১০ লাখ অধিবাসীকে ভ্যাকসিন দেয়ার প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেছে।
গত বছরের ১৪ ডিসেম্বর নিউ ইয়র্কের নার্স স্যান্ড্রা লিন্ডসেকে ফাইজার-বায়োএনটেক ভ্যাকসিনের প্রথম ডোজ দেয়ার মাধ্যমে ভ্যাকসিন প্রদান কার্যক্রম শুরু করে যুক্তরাষ্ট্র।
এমকে/এমকেএইচ