ফ্রান্স কেন বারবার হামলার লক্ষ্যস্থল?
চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে ব্যঙ্গাত্মক সাময়িকী শার্লি হেবদোর অফিসে হামলা চালায় সন্ত্রাসীরা। সে সময় পত্রিকাটির বেশ কয়েকজন কার্টুনিস্টকে গুলি করে হত্যা করা হয়। পত্রিকাটিতে ইসলাম ধর্মের নবী মোহাম্মদ (সা.) `র ব্যঙ্গাত্মক কার্টুন প্রকাশিত হয়েছিল।
ওই হামলার পর একটি সুপারমার্কেটে চালানো হামলায় ১৭ জন নিহত হয়। এ ঘটনার পর শহরটিতে সতর্কতা বাড়ানো হয়। কিন্তু এর মধ্যেই শুক্রবার প্যারিসের ছয়টি স্থানে প্রায় একই সময়ে হত্যাযজ্ঞ চালায় সন্ত্রাসীরা। এ সময় অন্তত ১২৯ জন নিহত ও তিন শতাধিক আহত হয়েছেন। প্রতিটি হামলার সঙ্গে ইসলামী চরমপন্থি গোষ্ঠীগুলো জড়িত বলে অভিযোগ রয়েছে। তবে শুক্রবারের হামলার দায় স্বীকার করেছে মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক জঙ্গিগোষ্ঠী ইসলামিক স্টেট (আইএস)।
বেশ কয়েক বছর ধরেই প্যারিসসহ ফ্রান্সের অন্যান্য শহরগুলোর কিছু কিছু এলাকায় ইসলামী চরমপন্থীদের আধিপত্য বৃদ্ধি পেয়েছে। বঞ্চনা ও বেকারত্বের শিকার হওয়া তরুণ মুসলমানদের জন্য এসব এলাকায় জিহাদ এক নতুন সম্মোহন হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে। এখন পর্যন্ত ৫০০ জন ফরাসী নাগরিক ইরাক ও সিরিয়ায় আইএস জঙ্গিদের সঙ্গে যোগ দেয়ার জন্য পাড়ি জমিয়েছে।
বিশ্লেষকরা বলছেন, পশ্চিমা দেশগুলো থেকে মধ্যপ্রাচ্যে জিহাদে যোগ দিতে যাওয়া মানুষের মধ্যে ফ্রান্সের নাগরিকই সবচেয়ে বেশি। এদিকে, সিরিয়া ও ইরাকে আইএস যোদ্ধাদের বিভিন্ন লক্ষ্যবস্তুতে ফরাসী যুদ্ধবিমানগুলোর বোমাবর্ষণও অব্যাহত রয়েছে। ফলে ফ্রান্সের প্রতি ইসলামী চরমপন্থিদের বিদ্বেষ বৃদ্ধি পেয়েছে।
এসঅাইএস/পিআর