ভিডিও EN
  1. Home/
  2. আন্তর্জাতিক

দু’টি ভ্যাকসিনের অনুমোদন দিল ভারত

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | প্রকাশিত: ০১:২৯ পিএম, ০৩ জানুয়ারি ২০২১

অবশেষে ভারতে জরুরি ব্যবহারের জন্য করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিনের অনুমোদন দেওয়া হলো। দেশটির ড্রাগ কন্ট্রোলার জেনারেল অব ইন্ডিয়া (ডিসিজিআই) রোববার এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, তারা দু’টি ভ্যাকসিনের অনুমোদন দিয়েছে। এর মধ্যে একটি হচ্ছে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় ও অ্যাস্ট্রেজেনেকার তৈরি ভ্যাকসিন এবং অপরটি ভারত বায়োটেকের তৈরি ভ্যাকসিন। খবর সিএনএন।

সম্প্রতি যুক্তরাজ্যেও অক্সফোর্ডের ভ্যাকসিনের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। ভারতে ওই একই ভ্যাকসিন নিয়ে কাজ করছে দেশটির সিরাম ইন্সটিটিউট। তারা অক্সফোর্ড ও অ্যাস্ট্রেজেনেকার ভ্যাকসিন উৎপাদনের লাইসেন্স পাওয়ার পর থেকেই এ নিয়ে কাজ শুরু করে।

ডিসিজিআইএর প্রধান ভিজি সোমানি বলেন, সব ধরনের পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে সিরাম ইন্সটিটিউট এবং ভারত বায়োটেককে ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে। জরুরি ব্যবহারের জন্য অনুমোদন পেয়েছে এই দুই কোম্পানি।

এই দু’টি ভ্যাকসিন প্রত্যেককে দু’টি করে ডোজ গ্রহণ করতে হবে। এগুলো ২ থেকে ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস (৩৫.৬ ডিগ্রি থেকে ৪৬.৪ ডিগ্রি ফারেনহাইট) তাপমাত্রায় সংরক্ষণ করতে হবে।

একদিকে ভারতে অক্সফোর্ড ও অ্যাস্ট্রেজেনেকার ভ্যাকসিন তৈরি করেছে সিরাম ইন্সটিটিউট। অপরদিকে ভারতের স্থানীয় কোম্পানি ভারত বায়োটেক কোভ্যাক্সিন নামে অপর একটি ভ্যাকসিন তৈরি করেছে। এক টুইট বার্তায় দেশে ভ্যাকসিনের অনুমোদনের ঘটনায় উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি একে ভারতের গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি বলে উল্লেখ করেছেন।

তিনি লিখেছেন, ‘অভিনন্দন ভারত, আমাদের কঠোর পরিশ্রমী বিজ্ঞানী ও উদ্ভাবকদেরও অভিনন্দন।’ অপরদিকে সিরাম ইন্সটিটিউটের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আদর পুনাওয়ালা বলেন, ভ্যাকসিন নিয়ে তারা যে ঝুঁকি নিয়েছিলেন তা সফল হয়েছে। তিনি বলেন, ভারতের প্রথম নিরাপদ এবং কার্যকর ভ্যাকসিন অনুমোদন পেল।

প্রথম ধাপে ভারতে ৩০ কোটি ভ্যাকসিন বিনামূল্যে দেওয়ার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। সম্মুখসারির যোদ্ধা, চিকিৎসাকর্মী ও করোনার ঝুঁকিতে থাকা লোকজনকে আগে ভ্যাকসিন দেওয়া হবে।

এখন পর্যন্ত করোনা সংক্রমণ ও মৃত্যুতে শীর্ষ অবস্থানে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। এই তালিকায় দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে ভারত। দেশটিতে এখন পর্যন্ত আক্রান্তের সংখ্যা ১০ কোটি ৩২ লাখ ৪ হাজার ৬৩১। এর মধ্যে মারা গেছে ১ লাখ ৪৯ হাজার ৪৭১ জন। তবে ইতোমধ্যেই সুস্থ হয়ে উঠেছে ৯৯ লাখ ২৭ হাজার ৩১০ জন।

টিটিএন/এমএস