প্লেসবো নেয়া স্বেচ্ছাসেবীদের ভ্যাকসিন দেবে ফাইজার-বায়োএনটেক
ট্রায়ালে অংশ নেয়া যেসব স্বেচ্ছাসেবীকে প্লেসবো (কার্যকরণ নেই বা নামেমাত্র ওষুধ) দেয়া হয়েছে তাদেরকে আগামী ১ মার্চের মধ্যে করোনাভাইরাস ভ্যাকসিনের প্রথম পরীক্ষামূলক ডোজ নেয়ার প্রস্তাব দিতে যাচ্ছে ফাইজার ও তাদের সহযোগী প্রতিষ্ঠান বায়োএনটেক। চলমান এক গবেষণার অংশ হিসেবে এই উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।
প্লেসবো হচ্ছে এক ধরনের পদ্ধতি বা বস্তু যা মূলতঃ কোনো ওষধি প্রভাব না ফেলেই চিকিৎসা ক্ষেত্রে ব্যবহৃত হয়। সাধারণত, রোগীকে মানসিকভাবে আশ্বস্ত করার জন্য প্লেসবো প্রয়োগ করা হয়। অনেক সময় নতুন কোনো ওষুধ পরীক্ষা করতে কন্ট্রোল হিসেবে প্লেসবো ব্যবহার করা হয়। এতে পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারী স্বেচ্ছাসেবকরা জানতে পারে না তাদের ওপর প্রয়োগকৃত ওষুধের কার্যকরিতা সম্পর্কে। ফলে পরীক্ষার ফলাফল কোনোভাবে প্রভাবিত হওয়ার সুযোগ থাকে না।
নিজস্ব ওয়েবসাইটে প্রতিষ্ঠান দুটি জানিয়েছে, ট্রায়ালে অংশ নেয়া ১৬ বছর বা তার চেয়ে বেশি বয়সী যেসব স্বেচ্ছাসেবী প্লেসবো নেয়ার বিষয়টি জানতেন কিংবা জানতেন না তাদের সবাইকে এ সুযোগের আওতায় আনা হবে।
তবে, ফাইজার ও বায়োএনটেকের এই ‘উন্মুক্ত’ পরিকল্পনায় উদ্বেগ জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (এফডিএ)। তাদের মতে, এর ফলে ভ্যাকসিনটির নিরাপত্তা ও কার্যকারিতা বিবেচনায় পূর্ণাঙ্গ অনুমোদনের জন্য প্রয়োজনীয় তথ্য সংগ্রহ কঠিন হয়ে পড়বে।
প্লেসবো গ্রহণকারী স্বেচ্ছাসেবীদেরকে পরীক্ষাধীন ভ্যাকসিনের দুটি ডোজ দেয়া হবে।
প্রতিষ্ঠান দুটি জানিয়েছে, ‘যুক্তরাষ্ট্রের সেন্ট্রার্স ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন কেয়ার ও স্থানীয় স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা অনুযায়ী অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে এ ভ্যাকসিন প্রয়োগ করা হবে।’
এসএস/এমএস