ভিডিও EN
  1. Home/
  2. আন্তর্জাতিক

ভ্রমণকারীদের জন্য দরজা বন্ধ হলো ইন্দোনেশিয়ার

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | প্রকাশিত: ০৬:২৪ পিএম, ২৮ ডিসেম্বর ২০২০

সৌদি আরবের পর এবার আন্তর্জাতিক ভ্রমণকারীদের জন্য দরজা বন্ধ করলো ইন্দোনেশিয়া। আগামী দু'সপ্তাহের জন্য দেশটিতে ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা আনা হয়েছে। খবর আল জাজিরার।

আগামী ১ জানুয়ারি থেকে নতুন এই নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হবে বলে জানানো হয়েছে। এর আগে ব্রিটেন থেকে আগত ভ্রমণকারীদের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল ইন্দোনেশিয়া। এবার সেই নিষেধাজ্ঞা আরও বর্ধিত করা হলো।

ব্রিটেনে নতুন ধরনের করোনাভাইরাস শনাক্তের পরই দেশটির নাগরিকদের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে ইন্দোনেশিয়া। এছাড়া বিভিন্ন দেশে সম্প্রতি এই ভাইরাসের উপস্থিতি নিশ্চিত হওয়ার পর ইউরোপ এবং অস্ট্রেলিয়া থেকে আগত ভ্রমণকারীদের ওপরও কঠোর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে দেশটি।

গত বছরের ডিসেম্বরে চীনের হুবেই প্রদেশে প্রথম করোনাভাইরাসের উপস্থিতি ধরা পড়ে। এরপরেই চলতি বছরের শুরুতেই সব দেশের পর্যটকদের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে ইন্দোনেশিয়া। তবে ব্যবসা-বাণিজ্য সংক্রান্ত ভ্রমণের ক্ষেত্রে এর ব্যতিক্রম ছিল।

ইন্দোনেশিয়ার এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, শীর্ষ স্থানীয় সরকারি কর্মকর্তা ছাড়া সব ধরনের বিদেশি ভ্রমণকারীদের ক্ষেত্রেই নতুন নিষেধাজ্ঞা জারি থাকবে। দেশটিতে এখন পর্যন্ত আক্রান্তের সংখ্যা ৭ লাখ ১৯ হাজার ২১৯। এর মধ্যে মারা গেছে ২১ হাজার ৪৫২ জন।

দেশটিতে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে আক্রান্তের সংখ্যা ৫ হাজার ৮৫৪। অপরদিকে একদিনেই মারা গেছে ২১৫ জন। তবে ইতোমধ্যেই সুস্থ হয়ে উঠেছে ৫ লাখ ৮৯ হাজার ৯৭৮ জন। দেশটিতে আশঙ্কাজনক অবস্থায় রয়েছে ১ লাখ ৭ হাজার ৭৮৯ জন।

এদিকে আরও এক সপ্তাহের জন্য আন্তর্জাতিক ফ্লাইট চলাচলে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে সৌদি আরব। সৌদি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, আন্তর্জাতিক ফ্লাইটের স্থগিতাদেশ আরও ৭ দিন বাড়ানো হয়েছে। একইসঙ্গে আকাশ, স্থল ও সমুদ্রবন্দর দিয়ে সৌদি আরবে প্রবেশের সকল কার্যক্রমও এক সপ্তাহের জন্য স্থগিত করা হয়েছে।

বিভিন্ন দেশের করোনার নতুন ধরন শনাক্ত হওয়ায় এমন পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। পুরোনো করোনাভাইরাসের চেয়ে নতুন ধরনের করোনাভাইরাস আরও ৭০ গুণ বেশি সংক্রামক বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। তবে এটি আগেরটির চেয়ে বেশি প্রাণঘাতী এমন প্রমাণ এখনও পাওয়া যায়নি। নতুন নিষেধাজ্ঞার ফলে যারা আগে থেকেই সৌদি যাওয়ার টিকিট কিনে রেখেছিলেন তারা বিপাকে পড়েছেন। বিশেষ করে যেসব প্রবাসীর ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে বা যাচ্ছে তারা সবচেয়ে বেশি দুশ্চিন্তায় পড়েছেন।

টিটিএন/এমকেএইচ