আমার পালা এলে জনসম্মুখে ভ্যাকসিন নেব: জাস্টিন ট্রুডো
কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো বলেছেন, তিনি জনসম্মুখে ভ্যাকসিন নেবেন। তার বয়সী ব্যক্তিদের যখন ভ্যাকসিন দেয়া হবে তখন তিনিও নেবেন বলে রোববার এক সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন ট্রুডো। খবর এএফপির।
তুলনামূলকভাবে সীমিত সরবরাহ নিয়েই গত ১৪ ডিসেম্বর থেকে কানাডায় ফাইজার-বায়োএনটেকের ভ্যাকসিন প্রদান শুরু হয়েছে। বেশি ঝুঁকিতে আছেন এমন ব্যক্তিদের আগে ভ্যাকসিন দেয়া হচ্ছে। এর মধ্যে আছেন সামনের সারির স্বাস্থ্যকর্মী ও দীর্ঘমেয়াদী সেবাকেন্দ্রগুলোর বাসিন্দা ও কর্মীরা।
সিবিসি টেলিভিশনকে দেয়া সাক্ষাৎকারে ট্রুডো বলেন, ‘অবশ্যই। যখন আমার পালা আসবে আমি জনসম্মুখে ও আগ্রহের সাথে নেব (ভ্যাকসিন)।’ স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ অনুসরণ করবেন বলেও জানান তিনি।
এ বছর বড়দিনে ৪৯ বছরে পা দেবেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘চল্লিশের স্বাস্থ্যবান প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য যখন ভ্যাকসিন উন্মুক্ত হবে, আমি ভ্যাকসিন নেব।’ গত মে মাসে করোনাভাইরাসে জাস্টিন ট্রুডোর স্ত্রী করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার পর ট্রুডো কোয়ারেন্টাইনে ছিলেন। এ প্রসঙ্গে ট্রুডো বলেন, তিনি সম্ভবত এই রোগের খুবই মৃদু উদাহরণ ছিলেন।
তিনি বলেন, ‘এটা খুবই সম্ভব যে আমি আক্রান্ত হয়েছিলাম। আমি জানিনা। আমি পুরোপুরি লক্ষণমুক্ত ছিলাম।’ ডাক্তাররা তাকে বলেছিলেন যদি অনেক হাঁচি হয় তাহলে করোনা টেস্ট করাতে। তবে ‘আমার হাঁচি হয়নি’, বলেন ট্রুডো।
কানাডা শীঘ্রই ফাইজার ভ্যাকসিন ডোজের পরবর্তী সরবরাহ পেতে যাচ্ছে। এছাড়া মডার্নার ভ্যাকসিনের অনুমোদন দিলে সেটির সরবরাহও শুরু হবে। কানাডার সরকারি স্বাস্থ্য বিষয়ক নীতিনির্ধারক বিভাগ হেলথ কানাডা জানিয়েছে, আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই মডার্নার ভ্যাকসিনের অনুমোদন দেয়া হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
প্রায় ৩ কোটি ৮০ লাখ জনসংখ্যার দেশ কানাডা সাতটি ফার্মাসিউটিক্যালস কোম্পানির কাছে ৪০ কোটি ভ্যাকসিন ডোজের অর্ডার করে রেখেছে। অতিরিক্ত ডোজগুলো তারা অন্য দেশকে দেবে বলে সিটিভি নেটওয়ার্ককে জানান ট্রুডো।
বছরের শেষ নাগাদ ছুটি এগিয়ে আসার সময়ে কানাডায় ভাইরাসের সংক্রমণ বৃদ্ধি পেয়েছে। জন্স হপকিন্স ইউনিভার্সিটির তথ্যমতে, দেশটিতে গত শুক্রবার করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৫ লাখ ছাড়িয়েছে। রোববার তা ৫ লাখ ৯ হাজারে ঠেকেছে। এছাড়া মৃত্যু হয়েছে মোট ১৪ হাজার ২১২ জনের।
এমকে/জেআইএম