মৃত্যু ৫০ হাজার ছাড়ানোর দিনে ইরানে বিধিনিষেধ কঠোর
শনিবার ইরানে মহামারি কোভিড-১৯ রোগে মৃতের সংখ্যা ৫০ হাজার ছাড়ানোর দিনে দেশটির সরকার করোনাভাইরাস প্রতিরোধ সংক্রান্ত বিধিনিষেধগুলো আরও কঠোর করেছে বলে জানাচ্ছে আল-জাজিরা।
করোনায় মধ্যপ্রাচ্যে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত দেশ ইরান এখন তৃতীয় দফায় ভাইরাসটির সংক্রমণ পরিস্থিতি সামাল দিতে হিমশিম খাচ্ছে। এর আগে গত বৃহস্পতিবার ইরানে শনাক্ত করোনা রোগীর সংখ্যা দশ লাখ ছাড়ায়।
রাজধানী তেহরানসহ ইরানের শহরগুলোতে সদ্যই দুই সপ্তাহের আংশিক ‘শাটডাউন’ শেষ হয়েছে। সংক্রমণের স্তর বিবেচনায় জরুরি ছাড়া সব ধরনের সেবা কর্যক্রম বন্ধ ছিল। সরকারি অফিসে কর্মীর উপস্থিতিও ছিল কম।
হাসপাতালে কোভিড-১৯ রোগী ভর্তির ওপর ভিত্তি করে রঙের ভিত্তিতে উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ ‘লাল’ শহর এবং কিছুটা কম ঝুঁকিপূর্ণ ও নিরাপদ শহর নিয়ে তৈরি ‘সাদা’ ক্যাটাগরি নিয়মিত হালনাগাদ করছেন সরকারি কর্মকর্তারা।
শনিবার লাল তালিকাভূক্ত শহরগুলোতে আংশিক শাটডাউনের মেয়াদ বাড়ানোর ঘোষণা দেয়া হয়েছে। এ ছাড়া ২৭৮টি শহরে রাত্রিকালীন কারফিউয়ের মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে। এসব শহর রয়েছে ‘কমলা’ ক্যাটাগরিতে।
এ ছাড়া দেশের সকল বাসিন্দার মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক হিসেবে জারি থাকবে। জাতীয় করোনা টাস্কফোর্সের মুখপাত্র আলিরেজা রাইসি বলেন, যেসব এলাকায় ৬ হাজার ৪০০ আক্রান্ত সেখানে বন্ধ থাকবে গণপরিবহনও।
গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ৩২১ জনের মৃত্যুর মধ্য দিয়ে শনিবার ইরানে করোনায় মোট মৃত্যুর সংখ্যা গিয়ে ঠেকেছে ৫০ হাজার ১৬ জনে। দেশটিতে মোট করোনাভাইরাস আক্রান্তের সংখ্যা দশ লাখ ২৮ হাজার ৯৮৬ জন।
ইরানের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র সিমা সাদাত লারি রাষ্ট্রায়ত্ত টেলিভিশনকে জানিয়েছেন, শুক্রবার থেকে শনিবার সকাল পর্যন্ত নতুন করে ১২ হাজার ১৮১ জনের দেহে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে।
এসএ/জেআইএম