ভিডিও EN
  1. Home/
  2. আন্তর্জাতিক

মোদিপত্নীর পাসপোর্টের আবেদন বাতিল

প্রকাশিত: ০৭:০৩ এএম, ১১ নভেম্বর ২০১৫

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি পত্নী যশোদাবেনের পাসপোর্টের আবেদন বাতিল করা হয়েছে। বিয়ের কোনো প্রমাণপত্র না থাকায় আহমেদাবাদের পাসপোর্ট দফতর তার আবেদন নাকচ করে দিয়েছে।

স্কুল শিক্ষিকার পদ থেকে অবসরের পর এই প্রথম পাসপোর্টের জন্য আবেদন করেছিলেন মোদি পত্নী যশোদাবেন। আহমেদাবাদের পাসপোর্ট দফতর জানিয়েছে, অনলাইনে ফর্ম পূরণ করার পর গত শুক্রবার সেখানে যান যশোদাবেন। আবেদনপত্রে নিজেকে বিবাহিত লিখেছেন অথচ তার প্রমাণ হিসেবে কোনো বৈধ নথি ছিল না। এ কারণেই সেই আবেদন খারিজ করে দেয় পাসপোর্ট দফতর।

আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসার জেড এ খান জানান, যশোদাবেন তার পাসপোর্ট আবেদন পত্রে নিজের স্বামী হিসেবে নরেন্দ্র মোদির নাম লিখেছেন। কিন্তু আইন অনুসারে ২০০৬ সালের পর বিয়ে হলে সার্টিফিকেট বাধ্যতামূলক। তার আগে হলে স্বামী ও স্ত্রীর যৌথ হলফনামা দরকার। স্বামী বা স্ত্রীর মধ্যে কেউ মারা গেলে মৃত্যুর প্রমাণপত্র দিতে হয় পাসপোর্ট দফতরে। কিন্তু যশোদাবেন নিজেকে বিবাহিত দাবি করেও তার কাছে না আছে বিয়ের সার্টিফিকেট না স্বামী ও স্ত্রীর যৌথ হলফনামা। সে কারণে এই আবেদন খারিজ করে দেয়া হয়েছে।

আহমেদাবাদ পাসপোর্ট অফিস জানিয়েছে, যশোদাবেনকে পাসপোর্ট পেতে হলে তার স্বামী নরেন্দ্র মোদির স্বাক্ষর করা যৌথ হলফনামা পেশ করতে হবে। এ ছাড়া আর কোনো উপায় নেই। যদিও যশোদাবেন পাসপোর্ট অফিসে যাওয়ার সময় গত লোকসভা নির্বাচনে নরেন্দ্র মোদির পেশ করা নির্বাচনী হলফনামার প্রতিলিপিটি সঙ্গে নিয়ে গিয়েছিলেন যেখানে প্রথম বার যশোদাবেনকে স্ত্রী হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছিলেন নরেন্দ্র মোদি। কিন্তু পাসপোর্ট দফতর সেই নথিকে গুরুত্ব দেয়নি।

জেড এ খান বলেন, নরেন্দ্র মোদির সেই হলফনামাটি অন্য আর একটি কাজের জন্য দেওয়া। সেটি পাসপোর্ট দফতর স্বীকার করতে পারে না। ফলে নরেন্দ্র মোদি যদি এখন তার স্ত্রীর সঙ্গে যৌথ হলফনামা দিতে রাজি হন তা হলেই বিদেশযাত্রার স্বপ্ন পূরণ হবে যশোদাবেনের।

কিন্তু লোকসভা ভোটে নির্বাচনী হলফনামায় এক বার উল্লেখ ছাড়া কখনোই স্ত্রীকে স্বীকৃতি দেননি মোদি। নরেন্দ্র মোদির আগে যত জন প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন, তাদের সবার পরিবার প্রধানমন্ত্রী নিবাসে সঙ্গে থেকেছেন। দেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহরুর তিন মূর্তি ভবনে থাকতেন ইন্দিরা। মোরারজি দেশাইয়ের ছেলে, পি ভি নরসিংহ রাওয়ের সন্তানরাও সঙ্গে থাকতেন। অটলবিহারী বাজপেয়ী বিয়ে না-করলেও তার পালিত কন্যা রেসকোর্স রোডে থাকতেন। নরেন্দ্র মোদিই প্রথম প্রধানমন্ত্রী যিনি নিজের পরিবারের কাউকে রেসকোর্স রোডের বাড়িতে সঙ্গে রাখেননি।

উল্লেখ্য, জশোদাবেনের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বিয়ে হয় ১৯৬৮ সালে। তৎকালীন সময়ে খুব কম সংখ্যক মানুষই আইনগতভাবে বিয়ে নথিভুক্ত করাতেন। এছাড়া প্রায় কয়েক দশক যাবত তারা পৃথকভাবে বসবাস করছেন। জশোদাবেন এখন তার ভাইয়ের সঙ্গে উত্তর গুজরাটের একটি গ্রামে থাকেন।

সূত্র : আনন্দবাজার ও জিনিউজ।

এসআইএস/আরআইপি