অর্থনৈতিক মন্দা উতরে গেল অস্ট্রেলিয়া
চলতি বছরের তৃতীয় প্রান্তিকে আগের প্রান্তিকের তুলনায় ৩.৩ শতাংশ প্রবৃদ্ধির আনুষ্ঠানিক হিসাব বুধবার প্রকাশ হওয়ার মাধ্যমে প্রায় ৩০ বছরের মধ্যে প্রথমবারের মতো পড়া অর্থনৈতিক মন্দা উতরে গেল অস্ট্রেলিয়া।
স্থানীয় করোনার সংক্রমণ অনেকটা নিয়ন্ত্রণে আসায় ব্যবসায়িক কার্যক্রম সচল ও ভোক্তা ব্যয় বৃদ্ধির মাধ্যমে দ্বিতীয় প্রান্তিকের (এপ্রিল-জুন) তুলনায় তৃতীয় প্রান্তিকে (জুলাই-সেপ্টেম্বর) অর্থনীতির আকার বেড়েছে।
অস্ট্রেলিয়ার পরিসংখ্যান ব্যুরো বুধবার এ হিসাব জানিয়ে বলছে, গৃহস্থালি ব্যয় বৃদ্ধির কারণে অনেকাংশে অর্থনীতির ইতিবাচক পরিবর্তন হয়েছে। বিগত প্রান্তিকের চেয়ে তৃতীয় প্রান্তিকে এই ব্যয় বেড়েছে ৭.৯ শতাংশ।
বার্তা সংস্থা এএফপির প্রতিবেদন অনুযায়ী দেশটির কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর ফিলিপ লোয়ে অবশ্য সতর্ক করে দিয়ে বলেছেন, অর্থনীতিতে ইতিবাচক পরিবর্তনের এই ইঙ্গিত জটিলতা দীর্ঘস্থায়ী করতে পারে।
তিনি আইনপ্রণেতাদের বলেন, ‘অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধার যে অসম ও অসমান হবে এই পরিসংখ্যান সেই বাস্তবতা আড়াল করতে পারবে না। অর্থনীতির কিছু অংশ বেশ ভাল করছে, তবে অন্যরা যথেষ্ট অসুবিধায় রয়েছে।’
মহামারিতে মন্দা শুরুর পর অস্ট্রেলিয়ার কেন্দ্রীয় ব্যাংক এর আগেই পূর্বাভাস দিয়ে জানিয়েছে যে, ২০২১ সাল শেষ হওয়ার আগে দেশের অর্থনীতি করোনার আগের অবস্থায় ফিরে যেতে পারবে না বলে ধারণা তাদের।
তবে করোনা মহামারির প্রকোপের কারণে মন্দায় পড়া অস্ট্রেলিয়ার অর্থনীতি এখনও সম্পূর্ণ পুনরুদ্ধার হয়নি। গত বছরের সেপ্টেম্বরের চেয়ে এ বছরের সেপ্টেম্বরের দেশটির আকার ৩.৮ শতাংশ সংকুচিত হয়েছে।
চলতি বছরের দ্বিতীয় অর্থাৎ এপ্রিল থেকে জুন প্রান্তিকে দেশটির অর্থনীতি রেকর্ড ৭ শতাংশ সংকুচিত হয়েছিল। এর আগে বছরের প্রথম প্রান্তিকে (জানুয়ারি-মার্চ) দেশটিতে এই সংকোচনের হার ছিল ০.৩ শতাংশ।
প্রসঙ্গত, অর্থনীতির ভাষায় মূলত প্রবৃদ্ধি না হয়ে অর্থাৎ অর্থনীতির আকার না বেড়ে কোনো দেশের অর্থনীতি যদি টানা দুই প্রান্তিকে সংকুচিত হয় তাহলে সেই দেশের অর্থনীতি মন্দায় পড়েছে বলে ধরে নেয়া হয়।
এসএ/জেআইএম