মার্চের পর সর্বোচ্চ দৈনিক সংক্রমণ দক্ষিণ কোরিয়ায়
গত মার্চের পর বৃহস্পতিবার একদিনে সর্বোচ্চ কোভিড-১৯ রোগী শনাক্ত হয়েছে এক সময় মহামারি করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব মোকাবিলায় সফল বলে বিবেচিত এশিয়ার দেশ দক্ষিণ কোরিয়ায়।
রয়টার্সের প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়ে বলা হচ্ছে, দক্ষিণ কোরিয়ায় ফের সামাজিক দূরত্ব সংক্রান্ত বিধিনিষেধ আরোপের পরও দেশটিতে তৃতীয় দফায় ভাইরাসটির সংক্রমণ পরিস্থিতির আরও অবনতি ঘটতে পারে।
দ্বিতীয় দফায় করোনা সংক্রমণের এক মাস না পেরোতেই চলতি সপ্তাহে দেশটির সরকার রাজধানী সিউলসহ তার আশেপাশের এলাকাগুলোতে সামাজিক দূরত্ব সংক্রান্ত কঠোর বিধিনিষেধ আবারও আরোপ করেছে।
গত ৬ মার্চের পর প্রথমবারের মতো দক্ষিণ কোরিয়ায় দৈনিক সংক্রমণ ৫০০ ছাড়িয়ে বৃহস্পতিবার ছিল ৫৮৩ জন। কিছু বিশেষজ্ঞ বলছেন, সরকার দ্রুত বিধিনিষেধ শিথিল করায় সংক্রমণে ফের ঊর্ধ্বগতি দেখা দিয়েছে।
সিউলের কোরিয়া ইউনিভার্সিটি গুরো হাসপাতালের সংক্রামক রোগ বিভাগের অধ্যাপক কিম উ জু বলেন, ‘অর্থনীতি নিয়ে উদ্বেগ আর মানুষ ক্লান্ত হয়ে পড়ার কারণে বিধিনিষেধ শিথিল করায় সংক্রমণে এই ঊর্ধ্বগতি।’
ধর্মীয় সমাবেশ থেকে দক্ষিণ কোরিয়ায় প্রথম দফা সংক্রমণ ছড়ায় ফেব্রুয়ারিতে। তবে তৃতীয় দফার সংক্রমণ শুধু রাজধানী সিউল নয় চারপাশে ছড়িয়ে পড়ায় আক্রান্তদের শনাক্ত ও বিস্তার ঠেকানো কঠিন হয়ে পড়েছে।
নতুন করে আরও যে প্রায় ছয়শো জন কোভিড-১৯ রোগী শনাক্ত হয়েছে; এর মধ্যে ৫৫৩ জনই স্থানীয়ভাবে সংক্রমিত। আবার এর মধ্যে ৭৩ শতাংশই রাজধানী সিউলে। এর আগে এই সংখ্যাটা এত বেশি ছিল না।
দেশটির স্বাস্থ্যমন্ত্রী পার্ক নিয়ং হো এক বৈঠকে স্বাস্থ্য কর্মকর্তাদের বলেন, ‘আপনার এবং আপনার পরিবারের কাছে চলে এসেছে কোভিড-১৯। বিশেষ করে তরুণদের মধ্যে সংক্রমণ পরিস্থিতি সবচেয়ে উদ্বেগজনক।’
উল্লেখ্য, দেশটিতে এ পর্যন্ত শনাক্ত কোভিড-১৯ রোগী ৩২ হাজার ৩১৮। এর মধ্যে ৫১৫ জন মারা গেছেন।
এসএ/এমকেএইচ