ক্যালিফোর্নিয়ায় সান্ধ্য আইন জারি
করোনাভাইরাস সংক্রমণ হু হু করে বেড়ে যাওয়ায় যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়া অঙ্গরাজ্যে সান্ধ্য আইন জারি করা হয়েছে। স্থানীয় সময় শনিবার থেকে রাত্রিকালীন এ আইন কার্যকর করা হয়েছে।
জানা গেছে, রাত ১০টা থেকে ভোর ৬টা পর্যন্ত কারফিউয়ের নির্দেশনা বহাল থাকবে। এছাড়া রাজ্যের ৫৮টি কাউন্টির ৪১টিতে নাগরিকদের ‘স্টে অ্যাট হোম’ অর্ডার দেয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত সপ্তাহেই রাজ্যটিতে ১০ লাখের বেশি করোনা আক্রান্ত শনাক্ত হয়। আগামী ২৬ নভেম্বর থ্যাংকস গিভিং ডেতে ভ্রমণ সীমিত করতে নাগরিকদের আহ্বান জানিয়েছেন কর্মকর্তারা।
করোনাভাইরাসের তাণ্ডবে লণ্ডভণ্ড গোটা যুক্তরাষ্ট্র। প্রতিদিনই বাড়ছে আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা। এখন পর্যন্ত করোনার কোনও কার্যকরী টিকা আবিষ্কার না হলেও এ নিয়ে গবেষণা চালিয়ে যাচ্ছে বিশ্ব।
যুক্তরাষ্ট্রে নতুন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃতের সংখ্যা ২ লাখ ছাড়িয়েছে। জনস হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের বরাত দিয়ে বিবিসি অনলাইনের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য দেওয়া হয়েছে। আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যায় বিশ্বের সব দেশের চেয়ে শীর্ষে যুক্তরাষ্ট্র।
যুক্তরাষ্ট্রে এখন পর্যন্ত আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ৬৮ লাখ ছাড়িয়েছে। দেশটিতে প্রথম করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয় এ বছরের জানুয়ারিতে। যুক্তরাষ্ট্রের প্রায় সব রাজ্যেই মৃত ও আক্রান্ত হওয়ার সংখ্যা বাড়ছে বলে জানা গেছে।
গত মার্চ মাসে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছিলেন, মৃতের সংখ্যা এক লাখ থেকে দুই লাখের মধ্যে থাকলে বুঝতে হবে আমাদের দেশ ভালো করেছে। গত মাসে যুক্তরাষ্ট্রে করোনার প্রাদুর্ভাব কমে আসায় ট্রাম্প ভবিষ্যদ্বাণী করেছিলেন, শিগগিরই যুক্তরাষ্ট্রে এই সংখ্যা শূন্যের কাছাকাছি চলে আসবে।
এদিকে করোনা মহামারির সময়ে মানুষের মৃত্যু নিয়েও আমেরিকায় চলছে রাজনীতি। একে অন্যের ওপর দায় চাপাচ্ছে। ডেমোক্রেটিক দলের প্রেসিডেন্ট প্রার্থী জো বাইডেন সোমবার বলেন, ‘গত ছয় মাসে ডোনাল্ড ট্রাম্পের মিথ্যাচার ও অক্ষমতার কারণে ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি আমেরিকান নাগরিকের প্রাণহানি হয়েছে।’
এমআরএম/এমএস