টানা ৫ দিনে সংক্রমণের রেকর্ড দক্ষিণ কোরিয়ায়
টানা পাঁচদিন ধরেই দক্ষিণ কোরিয়ায় করোনা সংক্রমণ লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে। গত কয়েকদিন ধরেই দৈনিক নতুন সংক্রমণ তিন শতাধিক ছাড়িয়ে গেছে। রোববারও নতুন করে তিনশোর বেশি মানুষ এই প্রাণঘাতী ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে।
এদিকে, কর্মকর্তারা সতর্ক করেছেন যে রাজধানী সিউল এবং এর আশেপাশের জনবহুল এলাকায় এভাবে সংক্রমণ বাড়তে থাকলে কঠোর বিধি-নিষেধ জারি করা হবে।
কোরিয়া ডিজেজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনসন এজেন্সি (কেডিসিএ) জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে আরও ৩৩০ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছে। তবে আগের দিনের তুলনায় এই সংখ্যা কিছুটা কম। একদিন আগেই আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ৩৮৬। গত আগস্টের পর দৈনিক সংক্রমণ এতো বেশি দেখা যায়নি।
কর্মকর্তা সতর্ক করেছেন যে, সংক্রমণ কমতে শুরু না করা পর্যন্ত সামাজিক দূরত্বের কিছু বিধি-নিষেধ জারি থাকবে। শনিবার কেডিসিএর এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, দেশ এক জটিল পরিস্থিতির সম্মুখীন হয়েছে। দেশজুড়ে সংক্রমণ আরও বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে।
গত সপ্তাহে দক্ষিণ কোরিয়ার প্রধানমন্ত্রী চুং সিয়ে কিয়ন সব ধরনের সামাজিক সমাবেশের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছেন। বার, নাইটক্লাব, ধর্মীয় স্থান, খেলাধুলা সব কিছুতেই বেশ কিছু সীমাবদ্ধতা আনা হয়েছে। তবে কর্মকর্তারা চাইলে সামাজিক দূরত্বের ক্ষেত্রে আরও বেশি নিষেধাজ্ঞাও জারি করা হতে পারে।
দেশজুড়ে লকডাউন জারি না করলেও ট্রেসিং, টেস্টিং এবং কোয়ারেন্টাইনে জোর দিচ্ছে দক্ষিণ কোরিয়া। সংক্রমণ রোধে বিভিন্ন ধরনের বিধি-নিষেধ জারি হয়েছে।
গত ৩১ ডিসেম্বর চীনের হুবেই প্রদেশের উহান শহরে প্রথম করোনার প্রকোপ ধরা পড়ে। সে সময় চীনের পরে সংক্রমণের শীর্ষে ছিল দক্ষিণ কোরিয়া। তবে দেশটিতে কয়েক মাসের কঠোর পদক্ষেপের কারণে সংক্রমণ অনেক কমিয়ে আনতে সম্ভব হয়। এমনকি বেশ কয়েক মাস ধরে সেখানে সংক্রমণ এবং মৃত্যু শূণ্যের কোঁঠায় ছিল।
কিন্তু কয়েক সপ্তাহ ধরেই সংক্রমণ আবারও বাড়তে শুরু করেছে। ফলে দেশজুড়ে আবারও কঠোর বিধি-নিষেধ জারি করতে বাধ্য হচ্ছে কর্তৃপক্ষ। দক্ষিণ কোরিয়ায় এখন পর্যন্ত করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ৩০ হাজার ৭৩৩ এবং মারা গেছে ৫০৫ জন।
টিটিএন/এমএস