চাপ দিয়ে কর্মীদের অফিসে ফেরাচ্ছে ফেসবুক
বিশ্বের বিভিন্ন দেশে করোনাভাইরাস সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউ আছড়ে পড়েছে। এ পরিস্থিতির মধ্যে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকের কন্টেন্ট মডারেটরদের অফিসে এসে কাজ করার জন্য চাপ দেয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
এক খোলা চিঠিতে এ অভিযোগ করেছেন ফেসবুকের ২ শতাধিক কর্মী। তারা বলেছেন, ‘মুনাফা ধরে রাখতে কর্মীদের জীবন ঝুঁকিতে ফেলছে ফেসবুক কর্তৃপক্ষ।’
বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ফেসবুকের প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী মার্ক জাকারবার্গ এবং চিফ অপারেটিং অফিসার শেরিল স্যান্ডবার্গকে উদ্দেশ্য করে দুই শতাধিক কর্মী স্বাক্ষরিত খোলা চিঠিটি দেয়া হয়েছে।
খোলা চিঠির বিষয়ে ফেসবুকের এক মুখপাত্র বলেছেন, যেহেতু আমরা যেকোনো বিষয়ে অভ্যন্তরীণভাবে খোলাখুলি আলোচনায় বিশ্বাসী, তাই এ নিয়ে আলোচনার ব্যাপারেও সৎ থাকতে হবে।
তিনি আরও বলেন, সারাবিশ্বে ফেসবুকের দেড় হাজার কনটেন্ট পর্যবেক্ষক রয়েছেন। করোনার পর থেকে তাদের অধিকাংশই বাসায় থেকে কাজ করেন। মহামারির মধ্যেও তারা বাসায় বসেই কাজ করবেন বলে জানান এই মুখপাত্র।
করোনাভাইরাস মহামারি শুরুর পর গত আগস্টে ফেসবুক কর্তৃপক্ষ ঘোষণা দেয়, ২০২১ সালের গ্রীষ্মকাল পর্যন্ত তাদের কর্মীরা বাসায় বসে কাজ করতে পারবেন।
খোলা চিঠিতে কর্মীরা জানিয়েছেন, সমস্যাযুক্ত পোস্টগুলো চিহ্নিত করতে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ওপর বেশি নির্ভরশীল হওয়ার চেষ্টা করেছিল ফেসবুক। তবে সেটা সেভাবে কাজ করেনি। এরপর কর্মীদের অফিসে এসে কাজ করার জন্য দেয় ফেসবুক।
তারা বলেন, কনটেন্ট মডারেটরদের কয়েক মাস বাসা থেকে কাজ করার অনুমতি দেয়া হয়েছিল। তবে ফেসবুক ঘৃণা ও গুজবমুক্ত রাখতে তীব্র চাপে পড়েন তারা। এরপর অফিসে এসে কাজ করার জন্য কর্মীদের জন্য চাপ দেয় ফেসবুক কর্তৃপক্ষ।
ফেসবুক কর্তৃপক্ষের উদ্দেশে কর্মীরা বলেন, আমাদের দরকার রয়েছে ফেসবুকের। এটা স্বীকার করা ও আমাদের কাজের মূল্যায়ন করার সময় এসেছে। লাভের জন্য আমাদের স্বাস্থ্য ও সুরক্ষার কথা না ভেবে অফিসে আসার চাপ দেয়া অনৈতিক।
ফেসবুক কর্তৃপক্ষ বলছে, কর্মীদের স্বাস্থ্যসেবা পাওয়ার অধিকার রয়েছে। অফিসে কাজ করার ক্ষেত্রে তারা যেন সুরক্ষিত থাকেন, সেজন্য স্বাস্থ্য নির্দেশিকা রয়েছে।
কর্মীরা বলছেন, যাদের চিকিৎসক কর্তৃক বাইরে যাওয়ার নির্দেশ রয়েছে, তারা বাসায় বসে কাজ করতে পারবেন না। ফেসবুক কর্তৃপক্ষ প্রস্তাব দিয়েছে যে, তাদেরকে ঝুঁকিভাতা দেয়া হবে।
এমএসএইচ/পিআর