ভিডিও EN
  1. Home/
  2. আন্তর্জাতিক

আল কায়েদা নেতা নিহতের কথা অস্বীকার তেহরানের

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | প্রকাশিত: ০৬:২৮ পিএম, ১৪ নভেম্বর ২০২০

ইরানের রাজধানী তেহরানে আল কায়েদার সেকেন্ড ইন কমান্ড আব্দুল্লাহ আহমেদ আব্দুল্লাহকে হত্যার বিষয়ে ইসরায়েলি গুপ্তচরদের দাবি প্রত্যাখ্যান করেছে তেহরান। নিউইয়র্ক টাইমসের এক প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে যে, গত আগস্টে রাজধানী তেহরানে যুক্তরাষ্ট্রের হয়ে কাজ করা ইসরায়েলি এজেন্টরা তাকে গুলি করে হত্যা করেছে।

এ বিষয়টি অস্বীকার করে ইরান বলছে, তাদের দেশে আল কায়েদা সন্ত্রাসীদের কোনো অস্তিত্ব নেই। ১৯৯৮ সালে আফ্রিকায় মার্কিন দূতাবাসে ভয়াবহ হামলার পরিকল্পনায় ছিলেন আব্দুল্লাহ। এই আল কায়েদা নেতা আবু মুহাম্মদ আল মাসরি হিসেবেই বেশি পরিচিত ছিলেন।

গত ৭ আগস্ট তার মেয়েসহ তাকে গুলি করে হত্যা করা হয়। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বেশ কয়েকজন মার্কিন গোয়েন্দা কর্মকর্তার বরাত দিয়ে নিউইয়র্ক টাইমসের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দুজন মোটরসাইকেল আরোহী তাকে গুলি করে হত্যা করেছে।

ইরান আব্দুল্লাহর মৃত্যুর কথা অস্বীকার করলেও নিউইয়র্ক টাইমস দাবি করেছে যে, তেহরান এই ঘটনা ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করছে। অপরদিকে লেবাননের গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, ৭ আগস্ট লেবাননের ইতিহাসের এক অধ্যাপক এবং তার মেয়েকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে।

এদিকে, শনিবার ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলছে, সময়ের সঙ্গে সঙ্গে ওয়াশিংটন এবং তেল আবিব এসব গোষ্ঠীর সঙ্গে ইরানকে সম্পৃক্ত করার চেষ্টা করছে এবং মিথ্যা তথ্য ছড়াচ্ছে। অপরদিকে, ইসরায়েল এবং মার্কিন কর্মকর্তাদের পক্ষ থেকে তাৎক্ষণিক কোনো মন্তব্য করা হয়নি।

আল কায়েদা প্রতিষ্ঠার সঙ্গে যে কয়জন যুক্ত ছিলেন তাদের মধ্যে অন্যতম আল মাসরি। ১৯৯৮ সালে কেনিয়া এবং তানজানিয়ায় মার্কিন দূতাবাসে হামলার জন্য তাকেই দায়ী করা হয়ে থাকে। ওই হামলায় ২২৪ জনের মৃত্যু হয়।

মার্কিন গোয়েন্দা কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে নিউইয়র্ক টাইমস বলছে, ২০০৩ সাল থেকে আব্দুল্লাহ ইরানে গৃহবন্দী হিসেবে ছিলেন। পরবর্তীতে তিনি স্বাধীন জীবন-যাপন করেছেন। যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন ব্যুরোর (এফবিআই) মোস্ট ওয়ান্টেড সন্ত্রাসী তালিকায় ছিলেন আব্দুল্লাহ। তার সম্পর্কে তথ্য দিতে পারলে ১০ মিলিয়ন ডলার পুরস্কার ঘোষণা করা হয়েছিল।

টিটিএন/জেআইএম