ভিডিও EN
  1. Home/
  2. আন্তর্জাতিক

মহামারি শুরুর ১০ মাস পর ‘করোনামুক্ত’ খেতাব হারালো দেশটি

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | প্রকাশিত: ১২:০২ পিএম, ১১ নভেম্বর ২০২০

করোনাভাইরাস মহামারির হানায় প্রায় ১১ মাস ধরে ভুগছে গোটা বিশ্ব। অল্প সময়ের মধ্যেই পৃথিবীর প্রতিটি কোণে পৌঁছে গেছে প্রাণঘাতী এই ভাইরাস। তবে এর মধ্যেও হাতেগোনা কিছু দেশ এখনও করোনামুক্ত। সেই তালিকায় নাম ছিল প্রশান্ত মহাসাগরীয় দেশ ভানুয়াতুরও। কিন্তু সেই খেতাব আর রক্ষা হলো না। এতদিন পর দেশটিতে শনাক্ত হয়েছে প্রথম করোনা রোগী।

ভানুয়াতুর জনস্বাস্থ্য বিভাগের পরিচালক লেন টারিভোনডা জানিয়েছেন, সম্প্রতি ২৩ বছর বয়সী এক যুবক যুক্তরাষ্ট্র থেকে ফেরার পর গত মঙ্গলবার করোনা পজিটিভ শনাক্ত হয়েছেন।

এক বিবৃতিতে দেশটির জনস্বাস্থ্য বিভাগ জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্র থেকে ফেরার পর ওই যুবককে কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছিল। এটি বহিরাগত সংক্রমণের ঘটনা, স্থানীয় নয়।

স্থানীয়ভাবে সংক্রমণ রোধে সবধরনের ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে বলেও জানানো হয়েছে ওই বিবৃতিতে।

jagonews24

এতে আরও বলা হয়েছে, করোনায় আক্রান্ত যুবকের শরীরে কোনও উপসর্গ ছিল না। ভানুয়াতু আসার পথে প্লেনে তাকে অন্য যাত্রীদের থেকে আলাদাই রাখা হয়েছিল। ফলে তার মাধ্যমে অন্যদের মধ্যে সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার ঝুঁকি নেই।

ভানুয়াতুর প্রধানমন্ত্রী বব লফম্যান এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, আমি সবাইকে নিশ্চিত করছি, পরিস্থিতি পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে এবং করোনা টাস্কফোর্সের মাধ্যমে সংক্রমণের ঘটনা নিয়ন্ত্রণে সরকার সম্পূর্ণ প্রস্তুত।

করোনাভাইরাস মহামারি প্রতিরোধে গত মার্চেই সীমান্ত বন্ধ করে দিয়েছিল দক্ষিণ প্রশান্ত মহাসাগরীয় দেশ ভানুয়াতু। তবে সম্প্রতি বিভিন্ন দেশে আটকে পড়া নাগরিকদের ফেরাতে কিছু ফ্লাইট শুরু করেছে তারা।

দুর্বল স্বাস্থ্য অবকাঠামোর কারণে প্রশান্ত মহাসাগরের মধ্যে অবস্থিত ছোট ছোট দ্বীপরাষ্ট্রগুলো মহামারির মারাত্মক ঝুঁকিতে রয়েছে বলে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন অনেকে। কিরিবাতি, মাইক্রোনেশিয়া, নাউরু, পালাউ, সামোয়া, টোঙ্গা, টুভালুর মতো দেশগুলো এখনও করোনামুক্ত বলে মনে করা হচ্ছে।

তবে সলোমন দ্বীপপুঞ্জ এবং মার্শাল দ্বীপপুঞ্জ গত মাসে বিদেশফেরত নাগরিকদের মধ্যে করোনার উপস্থিতি খুঁজে পেয়েছে। যদিও সেখানে স্থানীয়ভাবে এখনও সংক্রমণের খবর পাওয়া যায়নি।

জনস হপকিন্স ইউনিভার্সিটির তথ্যমতে, বিশ্বব্যাপী এ পর্যন্ত ৫ কোটি ১৩ লাখেরও বেশি মানুষ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। মারা গেছেন প্রায় ১৩ লাখ।

সূত্র: আল জাজিরা

কেএএ/এমকেএইচ